ডিপফেকের ভয় দেখিয়ে সাইবার প্রতারণার শিকার মানকুণ্ডুর তরুণী! টাকা দিয়েও মেলেনি রেহাই। ফোনে লাগাতার হুমকি। বাধ্য হয়ে পুলিসের দ্বারস্থ তরুণী।
সম্প্রতি অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানার ডিপফেক ছবি নিয়ে সরব হয়েছেন অমিতাভ থেকে বলিউডের অনেকেই। সচিন কন্যা সারাও তাঁর ইনস্টা হ্যান্ডেলে প্রতিবাদ করেছেন ডিপফেক নিয়ে। আমজনতারও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই ডিপফেক প্রযুক্তি। একজনের শরীরে অন্যের মুখ বসিয়ে দিয়ে চলছে ব্ল্যাকমেইল। আর এই ডিপফেকের ভয় দেখিয়েই সাইবার প্রতারণার শিকার হলেন মানকুণ্ডুর এক তরুণী।
তরুণীর এক সহকর্মী জানিয়েছেন,বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনাল খেলা দেখছিলেন তরুণী তাঁর মোবাইলে। হঠাৎই একটা ফ্ল্যাশ মেসেজ ভেসে ওঠে। সেটা ওপেন করতেই একটা অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে যায়। এরপর অ্যাকসেস নোটিফিকেশনে মোবাইল নম্বর দেন তরুণী। তখন তাঁর অ্যাকাউন্টে ১১ হাজার টাকা পাঠানো হয় লোন হিসাবে। এর দু-দিন পর থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করা। টাকার জন্য চাপ দেওয়া। টাকা না দিলে ডিপফেক করা অশ্লীল ছবি-ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। এমনকি তরুণীর কনট্যাক্ট লিস্টে থাকা অনেককেই ডিপফেক ছবি বানিয়ে পাঠিয়েও দেয় হ্যাকাররা।
ওই তরুণী তখন ১৯ হাজার টাকা অনলাইন পেমেন্ট করেন। এরপরই লাগাতার টাকা চেয়ে ফোন আসতে থাকে। অবশেষে এই ঘটনায় এদিন ভদ্রেশ্বর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। সেখান থেকে চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানা চুঁচুড়ায় এসেও অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিস সূত্রে খবর, ফ্ল্যাশ মেসেজের মাধ্যমে ফোন ক্লোনিং অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে হ্যকাররা ফাঁদে ফেলছে মানুষকে। ভয় দেখাতে ডিপফেককে হাতিয়ার করছে। এগুলো থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ পুলিসের। পুলিসের স্পষ্ট নির্দেশ, এই ধরনের ফোন এলে তা ব্লক করতে হবে। মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে ওঠা ফ্ল্যাশ মেসেজ খুলবেন না। কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করলে তাতে পার্সোনাল ডিটেলস দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।