রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে রয়েছে শীতের আমেজ। এই আবহে বঙ্গোপসাগরে আবার নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপেও পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কবে হতে পারে, সেই দিনক্ষণও জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। গভীর নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, সে দিকে নজর রয়েছে। তবে এই নিম্নচাপের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়বে না বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। ওই ঘূর্ণাবর্ত শনিবার, ২৩ নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। ২৫ তারিখ অর্থাৎ আগামী সোমবারের মধ্যে সেই নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ওই গভীর নিম্নচাপের শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তার উপর নজর রাখছে আবহাওয়া দফতর। তবে এই নিম্নচাপের সরাসরি প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়বে না বলেই মনে করছে তারা। সে কারণে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে কোনও সতর্কবার্তাও আপাতত জারি করা হয়নি। মৌসম ভবন (আইএমডি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় হলে তার প্রভাব পড়তে পারে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং শ্রীলঙ্কার উপকূলে।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সেখানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একাংশে বৃহস্পতিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পর্যটকদের সে জন্য সাবধান করেছে হাওয়া অফিস। ২২ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত উত্তাল থাকতে পারে সমুদ্র। মৎস্যজীবীদেরও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় যেতে বারণ করা হয়েছে।
সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হলেও আগামী পাঁচ দিন রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী কয়েক দিন রাজ্যে তাপমাত্রারও খুব একটা হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। শীতের আমেজ বজায় থাকবে রাজ্যে। কয়েকটি জেলায় সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।