আগামী দিন বৃষ্টি আরও বাড়বে। চার দিন ধরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। সঙ্গে জারি করেছে সতর্কতাও। রাজধানীর বহু এলাকা এখনও জলমগ্ন। ফলে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে ত্রস্ত দিল্লিবাসী। বৃষ্টি বিপর্যস্ত রাজধানীতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। তাঁদের মধ্যে ছ’জনের মৃত্যু হয়ে বৃষ্টির জমা জলে ডুবে। মৃতদের মধ্যে কয়েক জন শিশুও রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
শনিবারের বৃষ্টিতে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে রোহিণী, বুরারি এবং মধ্য দিল্লির বহু এলাকা। সফদরজঙে শনিবার বৃষ্টি হয়েছে ৮.৯ মিলিমিটার। লোঢী রোডে বৃষ্টি হয়েছে ১২.৬ মিলিমিটার। রবিবার এবং সোমবারেও ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ারও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী চার দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হলেও সাত দিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে পারে বলেও জানিয়েছে মৌসম ভবন। আবহবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বর্ষার মরসুমে দিল্লিতে ৬৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। কিন্তু শুধু শুক্রবারই গোটা মরসুমের এক তৃতীয়াংশ বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। এক দিনে ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে গোটা রাজধানী।
শুধু দিল্লিই নয়, উত্তর এবং মধ্য ভারতের রাজ্যগুলিতেও আগামী দিনে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে ৩ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, এই সময়ের মধ্যে উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, পূর্ব রাজস্থান, পশ্চিম মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
হিমাচলে ২ জুলাই পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরে কাংড়া, কুলু এবং সোলানে বহু রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধরমপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ধর্মশালায় ৫২.৪, কসৌলিতে ৩৯ মিমি এবং জুব্বারহাটিতে ৩৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে ভারী বৃষ্টির জেরে বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে গঙ্গা। সুখী নদীতে উপচে পড়ায় বহু রাস্তা এবং বাড়ি জলমগ্ন হয়েছে।