করোনার দাপট অব্যাহত। শুক্রবার পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত বেড়েছে দেশে। কিন্তু মৃত্যু হার অনেকটাই কমেছে বলে দাবি করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানানো হয়। মৃত্যুহার ৩.১৩ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াল ৩.০২ শতাংশ। লকডাউনের জেরে সংক্রমণ কমানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাটা একদিনে ৫ হাজারের উপরে পৌঁছে যাচ্ছিল। কিন্তু শুক্রবারের সংখ্যা নিঃসন্দেহে আরও উদ্বেগজনক। একলাফে তা ছ’হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গেল। এদিন সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬ হাজার ৮৮ জনের শরীরে মিলেছে মারণ ভাইরাস। যার জেরে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৪৭ জন। অ্যাকটিভ কেস ৬৬ হাজার ৩৩০। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যাতেও রেকর্ড। করোনার বলি হয়েছেন ১৪৮ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫৮৩ জন।
করোনা রুখতে দেশজুড়ে চতুর্থদফার লকডাউন চলছে। কিন্তু তাতেও করোনার দাপট রোখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। লকডাউনের মাঝে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একলাখের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে লকডাউনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, লকডাউনের ফলে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই রোখা গিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দুমাসের লকডাউনের ফলে সংক্রমণ অনেকটাই রোখা গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অন্যান্য দেশে করোনা সংক্রমণ অনেক বেশি ছড়িয়েছে। ভারতে সেটা আটকানো গিয়েছে। এ দুই মাসে ২০ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারতেন। লকডাউন করে ২০ লক্ষ সংক্রমণ ও ৫৪ হাজার মৃত্যু আটকানো গিয়েছে বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।