হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যাওয়ার গেট বন্ধ ছিল। গেট বন্ধ থাকায় হাসপাতালের ভিতরে রোগীকে নিয়ে যেতে দেরি হয়ে যায়। এর ফলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক গ্রুপ ডি কর্মীর। এই ঘটনাকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড হাসপাতাল চত্বরে। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা। নিরাপত্তারক্ষীদের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগও ওঠে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে অমর মল্লিক নামে এক গ্রুপ ডি–র কর্মী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সহকর্মীরা। জরুরি বিভাগে যাওয়ার জন্য হাসপাতালের ৫ নম্বর গেট দিয়ে যেতে চান তাঁরা। কিন্তু ৫ নম্বর গেটটি বন্ধ ছিল। ফলে অনেক পথ ঘুরে জরুরি বিভাগে নিয়ে যেতে হয়। জরুরি বিভাগে যখন সহকর্মীরা তাঁকে নিয়ে পৌঁছন, তখন চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন হাসপাতালের গ্রুপ ডি কর্মীরা। তাঁরা নিরাপত্তারক্ষীর ঘরে ঢুকে চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর শুরু করে দেন। এই সময় কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী জখম হয়েছেন বলে খবর।
জানা যায়, কলকাতা পুরভোটের সময় নিরাপত্তার কারণে হাসপাতালের ৫ নম্বর গেটটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। ফের গেট খুলতে গেলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। সেই অনুমতি নেওয়াও হয়নি আর গেটও খোলা হয়নি। অমরবাবু সহকর্মীদের অভিযোগ, ওই গেট যদি খোলা থাকত, তাহলে অনেক আগেই হাসপাতালের ভিতরে ঢোকা সম্ভব হত। এতে হয়ত তাঁদের বন্ধুর প্রাণ বেঁচে যেতে পারত। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।