ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে সারা দেশে নাম করেছে রাজস্থানের কোটা। কিন্তু সেখানেই প্রস্তুতি নিতে আসা পড়ুয়াদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় লাগাম টানা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার ডাক্তারি পড়ার প্রস্তুতি নেওয়া দুই ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল মরুরাজ্যের এই শিক্ষা-শহরে।
মঙ্গলবার সকালে একটি হস্টেলের বন্ধ ঘর থেকে ১৮ বছরের এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আদতে উদয়পুরের বাসিন্দা ওই পড়ুয়ার নাম মেহুল। তিনি গত দু’মাস ধরে কোটার বিজ্ঞান নগর এলাকার একটি হস্টেলে থেকে ডাক্তারিতে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘নিট’-এ ভাল নম্বর পাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় মেহুল নিজের ঘরে একাই ছিলেন। কিন্তু বহু ক্ষণ ধরে মেহুলের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁর অন্য বন্ধুরা হস্টেলের কেয়ারটেকারকে খবর দেন। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখা যায় মেহুলের প্রাণহীন দেহ ঝুলছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
একই দিনে কার্যত একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কোটারই অন্য একটি হস্টেলে। সেখানকার আবাসিক ১৮ বছরের আদিত্য গত দু’মাস ধরে নিট-এ ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁরও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
এ নিয়ে গত দু’মাসে শুধুমাত্র কোটায় ন’জন ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। মে মাসে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচ জনের। জুনে মৃত্যু হয় চার পড়ুয়ার। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে যে সমস্ত পড়ুয়ারা কোটায় থেকে পড়াশোনার করতে আসেন, তাঁদের কি পড়ার বাড়তি চাপে ফেলা হচ্ছে? তাই কি পর পর এ রকম ঘটনা? এ বিষয়ে অভিভাবকদের মনোভাব এমনই। যদিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও আসেনি।