রবিবার কাবুল দখল করে তালিবানরা। কাবুলে তালিবান জঙ্গিরা ঢুকতে শুরু করেছে জেনেই কয়েক হাজার মানুষ হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের দিকে ছুটে গিয়েছেব। মরিয়া হয়ে দেশ ছাড়ার হিড়িকে বিমানবন্দরে দেখা দেয় অরাকতা। বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার বা চাকায় পর্যন্ত উঠে বসেন অনেকে। সেখান থেকে পড়ে গিয়ে অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়। তবে আরও অন্তত একজন বিমান ওড়ার সময় ল্যান্ডিং গিয়ারে চেপে বসেছিলেন। তিনি মাটিতে পড়েননি। তবে তিনি পতাকার মতো উড়তে উড়তে মাঝ আকাশেই মারা যান। পরে বিমান অবচরণ করলে সেই ব্যক্তির দেহের অংশ প্লেনের গায়ে লেগে থাকতে দেখা যায় বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনা।
এদিকে জানা গিয়েছে বিমানের চাকার তলা থেকেও পাওয়া গিয়েছে মানুষের দেহাংশ। সম্প্রতি, আমেরিকার সেনা জানিয়েছে, সি-১৭ গ্লোবমাস্টার্স-এর চাকা লাগানো থাকা অংশে বিমানের চাকার তলা থেকেও বহু মানুষের দেহাবশেষ, দেহাংশ পাওয়া গিয়েছে। এই বিমানটি কাবুল থেকে কাতারের আল উদেইদ এয়ারবেসে গিয়েছিল।
সোমবার ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, কাবুল বিমানবন্দর একটি বিমান উড়ছে আর কয়েকজন মানুষ ওই বিমানটির চাকা ধরে ঝুলছে। বিমানটি ওড়ার কিছু পরেই তারা পড়ে যায়। শুধু তাই নয়। বিমান ওড়ার সময় শয়ে শয়ে মানুষ সেখানে ভিড় করে ছিল। কেউ চাকার অংশে উঠে বসেছে। তো কেউ আবার বিমানের চাকা ধরে ঝুলছে। মানুষের মনে তালিবানের প্রতি আতঙ্ক এই ভিডিয়োতে পরিষ্কার হয়ে যায়।
ওই বিবৃতিতেই জানানো হয়েছে, ‘রবিবার মার্কিন বায়ুসেনার সি-১৭ গ্লোবমাস্টার-৩ কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে। শ’য়ে শ’য়ে আফগান ওই বিমানটিকে ঘিরে ধরে। এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে বিমানকর্মীরা যত দ্রুত সম্ভব বিমান টেক-অফ করেন। এর পর অনলাইনে ওই ভিডিয়ো দেখে সি-১৭ কাতারে নামলে তার চাকার অংশে মানুষের দেহাংশ পাওয়া যায়।’ যদিও এই ভাবে ঠিক কত জন মারা গিয়েছেন, তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি মার্কিন কর্তৃপক্ষ।