ফিরছে সেই আতঙ্কের দিন! ক্ষতি হতে পারে বিঘার পর বিঘা ফসলের। মাথায় হাত পরতে পারে কৃষকদের। কারণ ফিরে আসছে পঙ্গপালের ঝাঁক। মে মাসের শেষ সপ্তাহেই দেশের একাধিক জেলায় তাণ্ডব চালাতে পারে পঙ্গপালের (Locust) দল। সরকারের তরফে এমনই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গত বছর করোনা পরিস্থিতির মাঝেই উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে হানা দিয়েছিল পঙ্গপাল। ক্ষতি হয়েছিল কয়েক হাজার কোটি টাকার ফসলের। এবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে? উত্তরপ্রদেশের কৃষিদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি মাসে প্রথম সপ্তাহেই রাজস্থানের জয়সলমীরে পঙ্গপালেন ঝাঁকের হদিশ মিলেছে। মে-এর শেষে উত্তরপ্রদেশের একাধিক এলাকায় প্রবেশ করবে ফসলভুকের দল। চালাতে পারে তাণ্ডব। আর তাই কৃষকদের আগেভাগেই সতর্ক করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আগ্রার কৃষিবিভাগের আধিকারিক রাম প্রবেশ জানিয়েছেন, “খাবারের খোঁজে চলতি মাসের শুরুতেই পাকিস্তান থেকে কয়েক লক্ষ পঙ্গপাল এ দেশে ঢুকে পড়েছে। বর্তমানে তারা রাজস্থনের জয়সলমীরে ঘাঁটি গেড়েছে। খুব শীঘ্রই তা আগ্রায় প্রবেশ করবে। সেখান থেকে অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।” পঙ্গপালেন হানা নিয়ে ইতিমধ্যে চাষিদের সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, আপাতত মাঠে প্রচুর ফসল নেই। তবে আগ্রায় প্রায় ৩০ হাজার একর জমিতে সবজি চাষ হয়। এই হানা এড়াতে সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের।
গত মাসেই ভারতের পশ্চিম প্রান্ত ধরে যথাক্রমে গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ হয়ে বাংলার দিকে হানা দিয়েছিল পঙ্গপালের দল। তাই সেই সময় থেকেই রাক্ষুসে পতঙ্গদের মোকাবিলা করতে আগাম প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল প্রশাসন। পঙ্গপাবের হানা এড়াতে রাতভর বাসন বাজিয়েছেন চাষিরা। কড়া পাহারা দিয়েছেন ক্ষেতে। কোথাও আবার হেলিকপ্টারে মাধ্যমে রাসায়নিক ছড়ানো হয়েছে। তবু কয়েক লক্ষ টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছিল। এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।