বৈশাখের দ্বিতীয় দিনেই হাঁসফাঁস অবস্থা গোটা দক্ষিণবঙ্গের। অস্বস্তি বৃদ্ধি করেছে আর্দ্রতা। বুধবার থেকে দক্ষিণের বেশ কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। এই আবহে সোমবার রাজ্যের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। দিনের তাপমাত্রা সব থেকে বেশি ছিল পানাগড়ে। সেখানে সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে পানাগড় ছাড়াও আরও ছয় জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস টপকে গিয়েছে। মেদিনীপুরে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ব্যারাকপুর ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কলাইকুণ্ডায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনের তাপমাত্রা। খুব পিছিয়ে নেই আরও দু’-একটি জায়গা। বীরভূমের শ্রীনিকেতনে সোমবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পুরুলিয়ায় ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিউড়ি এবং ঝাড়গ্রামেও তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরের বালুরঘাটেও সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার থেকে কম তাপমাত্রা ছিল দক্ষিণের সাগরদ্বীপে। সেখানে সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিঘায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজকের আবহাওয়া
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমা এবং উত্তর-পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ১৫ এপ্রিল, সোমবার থেকে ১৯ এপ্রিল শুক্রবার পর্যন্ত এই অস্বস্তি থাকতে পারে। আগামী চার-পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে। উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাতাসে আর্দ্রতা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ থাকতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় বাতাসে এই আর্দ্রতা থাকতে পারে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। দিনের বেশির ভাগ সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা থাকতে পারে ৪০ শতাংশের বেশি। বুধ এবং বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানের কিছু অংশে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ওই সব জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ওই দু’দিন দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও থাকবে অস্বস্তি।