ঔপনিবেশিক মানসিকতাকে পিছনে ফেলে নিজস্ব ঐতিহ্য নিয়ে গর্ববোধে ভরে উঠেছে দেশ। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, বর্তমানে ভারত শুধুমাত্র নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই উদযাপন করছে না, বরং গর্বের সঙ্গে নিজস্ব সংস্কৃতির ঐতিহাসিক বীরদেরও স্মরণ করছে।
শুক্রবার বেলা এগারোটা নাগাদ দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত অহম জেনারেল লাচিত বরফুকানের ৪০০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে অংশগ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রাজ্যপাল জগদীশ মুখি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং অন্যান্যরা। প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন মোদী, প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
নিজের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা এমন একটি সময়ে লাচিত বরফুকানের ৪০০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছি যখন দেশ নিজস্ব স্বাধীনতার অমৃত কাল উদযাপন করছে। এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি অসমের ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, লাচিত বরফুকানের মতো মহান ব্যক্তিত্ব এবং ভারত মাতার অমর বীররা এই অমৃত কালের সংকল্প পূর্ণ করার জন্য আমাদের নিরন্তর অনুপ্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেছেন, দেশের প্রতিটি প্রান্তে ভারত মাতার বীর সন্তানরা অত্যাচারীদের মোকাবেলা করেছেন এবং নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই ইতিহাস ইচ্ছাকৃতভাবে আড়াল করা হয়েছিল। লাচিত বরফুকনের বীরত্ব কি গুরুত্বপূর্ণ নয়? মুঘলদের বিরুদ্ধে অসমের হাজার হাজার মানুষের আত্মত্যাগ কি গুরুত্বপূর্ণ নয়? মোদীর কথায়, দুর্ভাগ্যবশত স্বাধীনতার পরও ঔপনিবেশিক আমলে ষড়যন্ত্রের অধীনে যে ইতিহাস তৈরি হয়েছিল, সেই ইতিহাসই আমাদের পড়ানো হয়। স্বাধীনতার পর যারা আমাদের উপনিবেশ স্থাপন করেছিল তাঁদের এজেন্ডা পরিবর্তন করার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি। মোদীর সংযোজন, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, আমাদের এটা বলার চেষ্টা করা হয়েছিল যে আমরা এমন ধরনের মানুষ যারা সর্বদা লুটপাট, মারধর এবং হেরে যাই। ভারতের ইতিহাস শুধুমাত্র ঔপনিবেশিকতার নয়, এটি বিরদী ইতিহাস। ভারতের ইতিহাস অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শন, বিজয়, ত্যাগ এবং মহান ঐতিহ্য সম্পর্কে।