উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে বাহারাইলে পার্সেল বোমা বিস্ফোরণের তদন্তে ১ জনকে আটক করল পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি পার্সেল রাখার সময় টোটোতে ছিলেন। তবে টোটোচালকের এখনো কোনও সন্ধান পাননি তদন্তকারীরা। ঘটনার জেরে শনিবার বাহারাইল বাজারে বনধ পালন করেন ব্যবসায়ীরা। তার মধ্যেই ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে যান বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরাও। ওদিকে আহত বাবলু চৌধুরীর ছেলের দাবি, বাবা জীবনে কোনও দিন অনলাইনে কিছু কেনেননি। তাহলে পার্সেল পাঠাল কে?
এদিন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন উত্তরবঙ্গের আইজি ডিপি সিং। সঙ্গে ছিলেন ডিআইজি অনুপ জয়সওয়াল ও পুলিশ সুপার সানা আখতার। তার আগে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা। বিস্ফোরকের নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
আহত বাবলু চৌধুরীর ছেলে ফিরোজ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘বাবা নির্বিবাদ মানুষ। কারও সঙ্গে কোনও মনোমালিন্য নেই তাঁর। বাবা কোনওদিন অনলাইনে কিছু কেনেননি। তবে বাবার পাশের দোকানের মালিক নিয়মিত অনলাইনে কেনাকাটা করতেন। পার্সেলটিতে বাবার নামই লেখা ছিল। কে আমাদের এরকম ক্ষতি করল বুঝতে পারছি না।’
বাহারাইল থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের দূরত্ব মেরে কেটে ৩ কিলোমিটার। বাবলুবাবুর বাড়ি বাহারাইল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে কলুয়া গ্রামে। ঘটনার পর থেকে গোটা এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পথে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কোনও বাক্স বা ব্যাগ পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখলেই দূরে সরে যাচ্ছেন সবাই। সবার একটাই দাবি কিনারা হোক এই বিস্ফোরণের।