সোমবারই ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। এই আবহে মঙ্গল থেকেই সতর্ক হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষআ পর্ষদ। তালাবন্ধ ট্রাঙ্কে করে গতকাল প্রশ্নপত্র এসেছে সেন্টারে। এরই মাঝে এবার আরও কড়াকড়ি শুরু করল পর্ষদ। মঙ্গলে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ জানিয়ে দেয়, সেন্টার ইনচার্জরা সকাল সাড়ে ১১টার আগে প্রশ্নপত্র হাতে পাবেন না। এর আগে সোমবারই প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত বিতর্ক শুরুর পর সেন্টার ইনচার্জদের হাতে প্রশ্নপত্র পাওয়ার সময় বেঁধে দিয়েছিল পর্ষদ। মঙ্গলে সেই নিয়মে আরও কড়াকড়ি করা হল। এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল নবান্ন।
এদিকে পরপর পদক্ষেপ করা হলেও ডিএলএডে প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারটি অবশ্য সরাসরি স্বীকার করতে চায়নি পর্ষদ। পর্ষদের দাবি, এনিয়ে তদন্ত করা হবে। কেউ জড়িত কি না সেটা দেখা হবে। পর্ষদের অভিযোগ, সরকারকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই কেউ ষড়যন্ত্র করে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে থাকতে পারে। প্রসঙ্গত, সোমবার পরীক্ষা শুরুর সোয়া একঘণ্টা আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
এদিকে সোমবারের পর মঙ্গলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু প্রশ্নপত্রের ছবি ভাইরাল হয়েছিল। যদিও পর্ষদ দাবি করে, সেই ছবির প্রশ্নপত্রগুলি আসল নয়। তবে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা রয়েছে পর্ষদের। প্রসঙ্গত, ডিএলএড কোর্সের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার প্রশিক্ষণ মেলে। দু’বছরের কোর্সে চারটি সেমেস্টার হয়। এর আগে পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ডিএলএড কলেজগুলি থেকে নিয়মিত টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আপাতত তিনি জেলবন্দি। এই আবহে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে নতুন করে অস্বস্তিতে পড়েছে পর্ষদ। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, পরীক্ষা বাতিল হবে? আর পরীক্ষা বাতিল না হলে এই পরীক্ষাকে কি আদৌ স্বচ্ছ বলে মেনে নেওয়া যায়?