সুন্দরবন পৌঁছে গেল ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘হেডস’। অতিমারির পাশাপাশি তাদের যৌথ অভিযান ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর বিরুদ্ধে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্তদের ত্রাণ পৌঁছে দিতে শনিবার কুমিরমারিতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অনুপম রায়, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, পিয়া চক্রবর্তী এবং তন্ময় ঘোষ। সেখান থেকেই নেটমাধ্যমে ত্রাণ বণ্টন সরাসরি দেখান অনুপম। জানান, ‘‘ইয়াস শহরে থাবা না বসালেও তছনছ করেছে গ্রামবাংলা, উপকূল এলাকা। বিশেষ করে সুন্দরবন। নদীর জল উপচে ভেসে গিয়েছে অনেক গ্রাম। তারই একটি কুমিরমারি। আমরা ত্রাণ নিয়ে সকাল থেকেই সেখানে।’’
এর আগে আনন্দবাজার ডিজিটালকে অনুপম জানিয়েছিলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তন্ময় ঘোষের সংগঠন ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’ বরাবরই প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুঃসময়ে জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই মঞ্চেই যোগ দিয়েছেন অনুপম, পরমব্রত, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় সহ এক ঝাঁক তারকা। যুক্ত হয়েছে পিয়া চক্রবর্তীর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘হেডস’।
শহর কলকাতা থেকে ত্রাণ আসছে তাঁদের জন্য, এই খবর ছড়াতেই সরু রাস্তার উপর সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে অসংখ্য স্থানীয় মানুষ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঋতব্রত জানিয়েছেন, ১২টি বাঁধ ভেঙে গোটা এলাকা জলের নীচে। সুন্দরবনের অবস্থা সত্যিই ভয়াবহ। সংগঠনের প্রধান তন্ময়ের দাবি, শুধুই কুমিরমারি নয়, ভেসেছে গোটা সুন্দরবন। জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দারা কী ভাবে জীবনধারণ করবেন? আপাতত এই প্রশ্নই রাতের ঘুম কেড়েছে তাঁদের।
এই প্রসঙ্গে পরমব্রতের মত, ‘‘আমরা গত বছরেও আমপানের পরে ত্রাণ নিয়ে কুমিরমারি (উত্তর)-এ এসেছিলাম। এ বছর ঝড়ের দাপট কম। বৃষ্টির দাপট বেশি। ফলে, চাষের জমির পাশাপাশি ভেসে গিয়েছে ভেড়ি। সেখানেও ঢুকে পড়েছে সমুদ্রের নোনা জল। সেই জল সরলে তবেই ভেড়িতে আবার মাছ চাষ সম্ভব।’’ তাই অভিনেতার অনুরোধ, সরকারের পাশাপাশি সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যেন সুন্দরবনবাসীদের পাশে এসে দাঁড়ান। তবেই তাঁরা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।