1/5ঘূর্ণিঝড় কি আদৌও ধেয়ে আসছে? বিষয়টি নিয়ে আবহাওয়াবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে সেরকম কিছু জানানো হয়নি। ঘূর্ণিঝড় তৈরির কোনও সম্ভাবনা থাকলে তা আগেভাগেই হাওয়া অফিসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেইমতো সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। তবে আপাতত কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।
2/5একই কথা জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস। তিনি জানিয়েছেন, যদি কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরির আশঙ্কা থাকে, তাহলে তা উপযুক্ত সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে তেমন কোনও পূর্বাভাস জারি করা হয়নি।
3/5একটি মার্কিন মডেলে দাবি করা হয়েছে যে আগামী সপ্তাহে (কালীপুজোর আশপাশে) বঙ্গোসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। যে ঘর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যা ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশের মধ্যে যে কোনও জায়গায় উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। যদিও ওই মার্কিন মডেল আদৌও কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে ধন্দ আছে আবহাওয়াবিদদের।
4/5আবহাওয়াবিদদের মতে, যে মার্কিন মডেলের ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেটির ক্ষেত্রে অতীতে একাধিকবার পূর্বাভাস মেলেনি (দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বাভাস)। বরং দক্ষিণ এশিয়ার আবহাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় মডেল অনেক বেশি কার্যকরী। তাতে সঠিক পূর্বাভাস মেলে। যা ঘূর্ণিঝড় আমফান, ইয়াসের সময়ও দেখা গিয়েছিল। তাই মার্কিন মডেলের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
5/5আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, বর্ষার পরও (এখনও যদিও পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায় নেয়নি) যে ঘূর্ণিঝড় হবে না, এমনটা বলা যায় না। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে স্পষ্টভাবে কোনও সতর্কতা জারি না করা পর্যন্ত অহেতুক আশঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।