৬ মে শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। এর জেরে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। তবে দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। দক্ষিণবঙ্গে পশ্চিমের ও উপকূলের জেলা ছাড়া বাকি জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কার্যত থাকবে না। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি উঠতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
৭ মে রবিবার সেই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। সোমবার ৮ মে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর অভিমুখে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। মঙ্গলবার ৯ই মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। নিম্নচাপে পরিণত হলে এর গতিপথ সুস্পষ্ট হবে। তবে ঘূর্ণিঝড় কোন অভিমুখে যাবে? নিম্নচাপ ঘনীভূত হলেই আবহাওয়া দফতর স্পষ্ট ভাবে জানাবে।
এর প্রভাবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার ও সোমবার তুমুল বৃষ্টি হতে পারে এই দুই দ্বীপপুঞ্জ এলাকায়। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া ৫০ কিলোমিটার গতিবেগ থাকবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। সোমবার সেই ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত হবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
সতর্কতা জারি করা হয়েছে পর্যটক ও মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে। এই দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন সমুদ্রে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা সমুদ্রে রয়েছেন তাদের রবিবার বিকেলের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে পরামর্শ আবহাওয়াবিদদের। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সমুদ্র এলাকাতেও মৎস্যজীবীদের প্রবেশ নিষেধ বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝড়ো হওয়া বইতে পারে। দেশের পরিষেবা এবং সমুদ্রতীরবর্তী বিনোদনমূলক পর্যটন সম্পর্কিত ক্রিয়া-কলাপ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।