ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনও বজায় রয়েছে। এই আবহে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে ওডিশার পুরূ থেকে ডান দিকে বাঁক নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ অভিমুখে এগোতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে হাওয়া অফিসের বুলেটিনে জানা গিয়েছে যে বাংলায় গভীর নিম্নচাপ হিসাবে প্রবেশ করতে পারে জাওয়াদ।
আলিপুর হাওয়া অফিসের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আজ সকালে উপস্থিত হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা উপকূলে। পাঁচ তারিখ পৌঁছাবে পুরী। তারপরই বাংলামুখী হবে জাওয়াদ। আজ বিকেল থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব অনুভব করতে পারবেন উপকূলবর্তী জেলার বাসিন্দারা। বিকেল থেকে বাড়বে সাগরের উপরে হাওয়ার গতি। রবিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে রাজ্যে৷ ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
জাওয়াদের কারণে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হবে আজ থেকেই। উপকূলীয় জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপট বেশি হবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ পরগনার মতো জেলায়। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি বা দুটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ওই দুই জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া এবং হুগলিতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। সেখানে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবারও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত জারি থাকবে এই জেলাগুলিতে। সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের একটি বা দুটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস অনুযায়ী, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর এটি অবস্থান করছে জাওয়াদ৷ বিশাখাপত্তনমের দক্ষিণ পূর্ব অংশ থেকে ২৫০ কিমি দূরে, পুরীর দক্ষিণ পশ্চিম অংশ থেকে ৪৩০ কিমি এবং দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিম পারাদ্বীপ থেকে ৫১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়৷ মৌসম বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ সকালে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে সরতে শুরু করবে। ওডিশা উপকূল হয়ে আগামী ৫ জিসেম্বর, রবিবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি পুরী উপকূলে প্রবেশ করবে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেনি মৌসম ভবন।