টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলকে বার্বাডোজ়ে কত ক্ষণ আটকে থাকতে হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। আশা করা হচ্ছিল, ২৪ ঘণ্টা পরে হয়তো তারা সেখান থেকে বেরতে পারবেন। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে আরও বেশি ক্ষণ আটকে থাকতে হতে পারে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের।
ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বেরিল’। সেটি পরিণত হয়েছে ‘অতি ভয়ঙ্কর ক্যাটেগরি ৪’ ঘূর্ণিঝড়ে। ফলে ভারতীয় দলের দেশে ফেরা আরও পিছোতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বার্বাডোজ় বিমানবন্দর। আগে প্রশাসন জানিয়েছিল, সোমবার বিকালের আগে বিমান চলাচল শুরুর সম্ভাবনা কম। তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে মঙ্গলবারের পরেও বিমানবন্দর বন্ধ থাকতে পারে। অর্থাৎ, মঙ্গলবার রাত বা বুধবার সকালের দিকে হয়তো বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের দ্বীপরাষ্ট্রগুলিতে। রোহিত, কোহলিরা এক রকম বন্দি হয়ে রয়েছেন হোটেলে। বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। অনুমতিও নেই। বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে হোটেলেও সব জরুরি পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড়ের দাপট বাড়ায় কবে বার্বাডোজ় থেকে দল বেরাতে পারবে তা বোঝা যাচ্ছে না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে। ক্রিকেটার ও তাদের পরিবারকে কী ভাবে নিরাপদে দেশে ফেরানো যায় সে দিকেই নজর রয়েছে বোর্ডের।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোরের দিকে বার্বাডোজ়ে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ার কথা অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘বেরিল’-এর। শনিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলতে পারে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। বুধবার বিকাল পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহবিদেরা। তার পর কিছুটা কমবে বৃষ্টির দাপট। রবিবার থেকেই বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে বার্বাডোজ়ে।
এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার জন্য বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বার্বাডোজ়-সহ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের একাধিক দ্বীপরাষ্ট্রে। কবে, কখন পরিষেবা শুরু হতে পারে, তা জানানো হয়নি। সকলকে বাড়ির মধ্যে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রোহিত, বিরাটেরাও হোটেলের বাইরে পা রাখছেন না। ভারতীয় দলকে দেশে ফেরাতে তাড়াহুড়ো করছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিসিআই)। পরিস্থিতির উন্নতি হলে চার্টার্ড বিমানে বিশ্বজয়ী ক্রিকেটারদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে বিসিসিআই সূত্রে।
বার্বাডোজ় থেকে বিমানে নিউ ইয়র্কে যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় দলের। সেখান থেকে দুবাই হয়ে মুম্বইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দিতেন রোহিতেরা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সূচিতে বদল করতে হচ্ছে। কবে রোহিতেরা রওনা হবেন, তা এখন অনিশ্চিত।