ডানার প্রভাবে গতকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। মাঝে মাঝে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। মধ্য রাতের পর সমানে ঝিরঝিরে বৃষ্টি, তার সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। গত ২৪ ঘন্টায় আসানসোলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭ মিলিমিটার, দুর্গাপুরে ২ মিলিমিটার, পাঞ্চেতে ৫ মিমি ,মাইথনে ০.৬০ মিলিমিটার, তেনুঘাটে ০.৬০ মিমি, গঙ্গাজলঘাটি ৫ মিমি, হরিনখোলা ২০ মিমি। সুতরাং, এখনও পর্যন্ত পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, যেটা দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজে থেকে জল ছাড়ার সম্ভাবনাও নেই।
অন্যদিকে, সকাল সাড়ে ৭ টা অবধি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে- ডায়মন্ড হারবার ৬৭ মিলিমিটার, দিঘা ৩৭ মিলিমিটার, হলদিয়া ৬৩ মিলিমিটার। ওড়িশার- চাঁদবালি ১৪৫.৮ মিলিমিটার, ভুবনেশ্বর ২০.৪ মিলিমিটার, বালেশ্বর ৪৪.৮ মিলিমিটার, পারাদ্বীপ ৭৬.৪ মিলিমিটার। তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা সিভিয়ার সাইক্লোন দানা উত্তর ওড়িশা উপকূলে অবস্থান করছে। ১০ কিলোমিটার গতিবেগে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। এর অবস্থান 21:05 Latitude 86:80 Longitude। ঘূর্ণিঝড় দানা ৩০ কিলোমিটার উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে রয়েছে ধামারা থেকে। ৫০ কিলোমিটার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে ভিতর কনিকার হাবালিকাটি নেচার ক্যাম্প থেকে।
তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের শেষের অংশ বা লেজের অংশ (rear parts) স্থলভাগে ঢুকছে। আরো এক সময় লাগবে সম্পূর্ণভাবে স্থলভাগে প্রবেশ করতে। আজ দুপুরের মধ্যে এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে উত্তর ওড়িশা অতিক্রম করবে। তখন এটি দুর্বল হয়ে সিভিয়ার সাইক্লোন থেকে শুধুমাত্র সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড় ছত্রিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ অভিমুখী এগোবে।
প্রসঙ্গত, লাগাতার বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে গিয়েছে জেলায়। নিম্নচাপের জেরে মানুষ প্রায় গৃহবন্দি। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে নারাজ সাধারন মানুষজন। শহর থেকে গ্রাম রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। ডানা আছড়ে পড়ার আগে গতকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন ছিল আকাশ। পুরুলিয়ায় ঝিরঝিরে বৃষ্টিও শুরু হয় গতকাল থেকেই। মধ্যরাত থেকে বৃষ্টি রেশ বাড়তে থাকে।
লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে পুরুলিয়া জেলা জুড়ে। কোথাও কোনও সমস্যা হলে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে, চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন নম্বর। প্রস্তুত রয়েছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম। জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এছাড়াও পুরুলিয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকেই হেল্প লাইন জারি করা হয়েছে।