আজ উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কাল সকাল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। তবে কাল থেকে কমবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। উপকূলের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই বলছে আবহাওয়া দফতর।
রবিবার আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। মঙ্গলবার সেই সিস্টেম নিম্নচাপে পরিণত হবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে। বৃহস্পতিবার ওই নিম্নচাপ মধ্য বঙ্গোপসাগরেই অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-য়। এরপর শক্তি বাড়িয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মায়ানমার যেকোনো উপকূলেই স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে।
মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা রয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের। মঙ্গল ও বুধবার মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন। ঝোড়ো হওয়া সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হবে। ২৩ ও ২৪ অক্টোবর অর্থাৎ বুধ ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকতে পারে। এই দুদিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে।
অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে অক্টোবরের শেষে ঘূর্ণিঝড় ডানা-র আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল। ইউরোপের ও আমেরিকার বিভিন্ন মডেল জানাচ্ছে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা জোরাল হচ্ছে।
ইউরোপ ও আমেরিকার মডেল গুলি জানাচ্ছে ২৪ থেকে ২৬ এ অক্টোবরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের খুলনার মধ্যে কোথাও ল্যান্ডফল করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম হবে “ডানা”। এই নাম দিয়েছে কাতার।
এখনো পর্যন্ত মডেলগুলি বিশ্লেষণ করে যা পাওয়া যাচ্ছে; তাতে ওড়িশা বা অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আঘাত হানলে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ অনেকটাই বেশি হবে। তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে তা ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় বা তার আশেপাশে থাকতে পারে।