Cyclone Biparjoy: ধেয়ে আসছে ভয়ংকর ‘বিপর্যয়’! ঝড়ের হাত ধরে বাংলায় কি বর্ষা এগিয়ে আসছে?

 ‘মোকা’র পালা চুকেছে, এবার ‘বিপর্যয়ে’র পালা। তীব্র গতিতে ছুটে আসছে বিপর্যয়। তবে তা বাংলায় নয়। আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে এই ঝড় আসছে মুম্বই ও কোঙ্কন উপকূলে। প্রতিটি ঝড়কে আসলে আলাদা করে চিনে নেওয়ার জন্যই এই নামকরণের নিয়ম। একটা নাম থাকলে সেটা নিয়ে খবরাখবর করতেও যেমন সুবিধা হয়, তেমনই আবহাওয়া সংক্রান্ত আপডেট যথাযথ ভাবে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়। নাম হতে হবে ছোট, শ্রুতিসুখকর, সহজে উচ্চারণ করা সুবিধাজনক। 

একটি প্যানেল থাকে যারা ঝড়ের নাম চূড়ান্ত করে। তবে বিভিন্ন দেশ নাম পাঠাতে পারে। নাম পাঠায়ও। তারপর সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ব জুড়ে কতগুলি ‘রিজিওনাল স্পেশালাইজড মেটিওরোলজিক্যাল সেন্টার’ বা ‘আরএসএমসি’ এবং ‘ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সেন্টার’ বা ‘টিসিডাব্লিউসি’ রয়েছে। এরাই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ঝড়ের নাম ঠিক করার ক্ষমতার অধিকারী। ভারতে নয়া দিল্লিতে যে আবহাওয়া দফতর আছে তারাই ‘নর্থ ইন্ডিয়ান ওশেন রিজিয়নে’, মানে, আরব সাগর বা বঙ্গোপসাগরে যে ঝড় ঘটে, তার নামকরণের দায়িত্বে রয়েছে।  

মোকার পরে আরও ৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম এর মধ্যেই ঠিক হয়ে গিয়েছে। এর ঠিক পরের ঝড়টির নাম বাংলায় দেওয়া হয়েছে। দিয়েছে বাংলাদেশ। নাম ‘বিপর্যয়’। তার পরের ঝড়টির নাম ‘তেজ’। নাম দিয়েছে ভারত। এর পরেরটি ‘হামুন’। ইরানের দেওয়া নাম। তার পরেরটি মালদ্বীপের দেওয়া– ‘মিধিলি’। এর পরেরটি মায়ানমারের দেওয়া– ‘মিকাউং’। এর পরে আসছে ‘রেমল’, নাম দিয়েছে ওমান। তার পরেরটি পাকিস্তানের দেওয়া। নাম– ‘আসনা’। শেষ দুটি ঝড় যথাক্রমে ‘ডানা’ ও ‘ফেংগল’– নামকরণ করেছে যথাক্রমে কাতার ও সৌদি আরব।  

জুনের প্রথমেই কেরালায় বর্ষা ঢুকে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা বিলম্বিত হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপের জেরে। তবে এর থেকেও উদ্বেগের বিষয় হল সেই নিম্নচাপ এবার ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে।  যার পোশাকি নাম ‘বিপর্যয়’। দিল্লির মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ওই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ে’র আকার নিতে পারে। ফলে কেরালায় বর্ষা ঢুকতে দেরি করিয়ে দিতে পারে এই ‘বিপর্যয়’। সেখানে বর্ষা ঢুকতে ঢুকতে ৭-৮ জুন হয়ে যেতে পারে!  

ঘূর্ণিঝড়় তৈরি হওয়ার পর সেটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটারেরও বেশি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ‘বিপর্যয়ে’র প্রভাবে মুম্বই ও কোঙ্কন উপকূলে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত প্রবল বর্ষণ হতে পারে। আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ছিল গোয়া থেকে ৯২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। মুম্বই থেকে ১১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.