সাইবার হানা জম্মু পুরসভার ওয়েবসাইটে, শুক্রবার সকালে খোয়া গেল গুরুত্বপূর্ণ বহু নথি, হামলার নেপথ্যে কি পাক হ্যাকারেরাই?

এ বার সাইবার হানা জম্মু পুরসভার ওয়েবসাইটে। শুক্রবার জম্মু পুরসভার ওয়েবসাইটে থাবা বসিয়েছে হ্যাকারেরা। খোয়া গিয়েছে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি।

শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালের দিকে আচমকা জম্মু পুরসভার ওয়েবসাইটে সাইবার হানা হয়, যার জেরে চুরি হয়ে যায় সমস্ত নথি, শংসাপত্র এবং তথ্য। সে সব নথির মধ্যে এলাকার বাসিন্দাদের আধার নম্বর, সম্পত্তির নথি, করের বিবরণ এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক নথিও ছিল। হ্যাকারদের হানায় কয়েক মূহূর্তের মধ্যে সে সব নথি হারিয়ে গিয়েছে।

ওয়েবসাইটটি পুনরুদ্ধারের জন্য সব রকম চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, এই সাইবার হানার নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানের হ্যাকাররাই। পাক হ্যাকারদের সাম্প্রতিক সাইবার হামলাগুলির ধাঁচেই ঘটানো হয়েছে শুক্রবারের হামলাও। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর থেকে পাকিস্তান-ভিত্তিক হ্যাকারদের সাইবার আক্রমণও পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের সাইবার সুরক্ষা নষ্ট করতেই বার বার এমনটা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন ভারতীয় সাইবার বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

এর আগে বৃহস্পতিবারও ‘সাইবার গ্রুপ হোক্স১৩৩৭’ এবং ‘ন্যাশনাল সাইবার ক্রু’-এর মতো পাকিস্তান-সমর্থিত হ্যাকার গোষ্ঠীগুলি বেশ কয়েকটি ভারতীয় ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতের সাইবার নিরাপত্তা সংস্থাগুলি তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। এ ছাড়া, সংবাদ সংস্থা এনআইএ সূত্রে খবর, সাম্প্রতিক কালে ‘ইন্টারনেট অফ খিলাফাহর’ (আইওকে) নামে একটি হ্যাকার গোষ্ঠীর নামও বার বার উঠে এসেছে। প্রতি বারই ভারতীয় সেনার বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছে তারা। দিন তিনেক আগেই ভারতীয় বায়ুসেনা, আর্মি ওয়েলফেয়ার হাউসিং অর্গানাইজ়েশন এবং সেনার বিভিন্ন স্কুলের ওয়েবসাইটেও হামলা চালানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পরিষেবা ব্যহত করা এবং ব্যক্তিগত তথ্য হাতানোরও চেষ্টা করেছিল হ্যাকারেরা। যদিও বহুস্তরীয় সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেদ করে হ্যাক করতে পারেনি তারা। সেই হামলার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় ফের একই ধাঁচে হামলা হল জম্মুতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.