কমনওয়েলথ গেমসে আরও একটি সোনা জয় ভারতের। পঞ্চম পদকটিও এল ভারোত্তোলনে। জেরেমি লালরিন্নুঙ্গা সোনা এনে দিলেন ভারতকে। গেমস রেকর্ড সোনা জিতলেন তিনি। মীরাবাই চানুর পর ভারোত্তোলনে আরও একটি সোনা ভারতের।
ক্লিন ও জার্ক বিভাগে ১৫৪ কিলো তুলতে গিয়ে পায়ে চোট পান জেরেমি। সেই চোটও তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ফিরে এলেন ১৬০ কিলো তুলতে। চোখেমুখে ব্যথার লেশমাত্র নেই। পায়ের চোট নিয়েই তুললেন। মোট ৩০০ কিলো তুললেন জেরেমি। গড়লেন গেমস রেকর্ড। তৃতীয় বার ১৬৫ কিলো তুলতে এসে ব্যর্থ হলেন। মাটিতে পড়ে গেলেন। যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন ১৯ বছরের তরুণ।
চার বছর আগে যুব অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন জেরেমি। সোনা জিতেছিলেন কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপেও। এ বার সোনা এল কমনওয়েলথ গেমসেও। স্ন্যাচিংয়ে তাঁর বিভাগে রেকর্ড গড়লেন জেরেমি। ১৪০ কিলো তোলেন তিনি। কমনওয়েলথ গেমসে ৬৭ কিলো বিভাগে যা রেকর্ড।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে পদক জয় জেরেমির। মিজোরামের আইজলে জন্ম তাঁর। ১৫ বছর বয়সে নেমেছিলেন যুব অলিম্পিক্সে। সে বার আর্জেন্টিনায় তিনি পদক জয়ের লড়াইয়ে নেমেছিলেন সেই সময় বাড়িতে তাঁর ভাই জেরি এবং পড়শিরা খেলা দেখছিলেন ইউটিউবে। হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় সেই লাইভ। চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন সকলে। জেরেমির মধ্যে কোনও চিন্তা ছিল না। ১৫ বছরের ছেলেটি অনায়াসে তুলে নেন ২৭৪ কিলো। স্ন্যাচিংয়ে তুলেছিলেন ১২৪ কিলো এবং ক্লিন ও জার্ক বিভাগে তুলেছিলেন ১৫০ কিলো।
সেই সময় এক সাক্ষাৎকারে জেরেমি বলেন, ‘‘আমার পরিবার খেলাটা পুরো দেখতে পারেনি, কিন্তু পদক নেওয়ার সময় দেখতে পেয়েছিল। ভারতের জন্য সোনা জিততে পেরে দারুণ লাগছে। আমি যদিও পদক নিয়ে ভাবি না। কোচ আমাকে সব সময় বলে খেলাটা উপভোগ করতে।’’ রবিবার বার্মিংহামে উপভোগ করতেই দেখা গেল জেরেমিকে। স্ন্যাচিংয়ে প্রথম চেষ্টায় ১৩৬ কিলো তোলেন জেরেমি। পরের বার তোলেন ১৪০ কিলো। রেকর্ড গড়ার পর তৃতীয় বার ১৪৩ কিলো তুলতে এসে ব্যর্থ হন। স্ন্যাচিং বিভাগের পর শীর্ষে ছিলেন তিনিই।
ক্লিন ও জার্ক বিভাগে সর্বোচ্চ তুললেন ১৬০ কিলো। সেখানে গেমস রেকর্ড গড়তে না পারলেও সোনা জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল সেটাই।