জঙ্গলমহলের যুবক-যুবতীদের স্বপ্ন পূরণ করল সিআরপিএফ। সিআরপিএফের উদ্যোগে জঙ্গলমহলের যুবক যুবতীদের কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশ এবং বিভিন্ন সরকারি চাকরির জন্য “মিশন কামিয়াব” নামের বিশেষ কোচিং ক্লাস ও প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। এই শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়ে জঙ্গলমহলের ৩৫ জন যুবক-যুবতী কেন্দ্রীয় বাহিনীর সিআরপিএফ, বিএসএফ, সিআইএসএফ, অসম রাইফেল সহ বিভিন্ন জায়গায় চাকরি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সংবর্ধনা জানান সিআরপিএফের ১৮৪ নং ব্যাটালিয়ান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর জোনের সিআরপিএফের ডিআইজি ডিএস গ্রেয়াল, ১৮৪ নং সিআরপিএফ ব্যাটালিয়নের সিইও বি আর মিনা, ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের প্রিন্সিপাল দেবনারায়ণ রায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিআরপিএফের অন্যান্য আধিকারিকরা। কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন বাহিনীতে সদ্য চাকরি পাওয়া যুবক-যুবতীদের সংবর্ধনা জানানোর পাশাপাশি কলেজ চত্বরে বৃক্ষরোপণ করা হয় সিআরপিএফের পক্ষ থেকে।
ডি এস গ্রেয়াল বলেন, “এখানে আমদের বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি চলছে। যেমন মিশন কন্যাদান, মিশন কিষাণ স্বভিমান, মিশন জনজীবন, মিশন কামিয়াব সহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে। ২০২২ সালে আমাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২৫ জন চাকরি পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালে ৩৪ জন চাকরি পেয়েছে। কেউ বিএসএফ, কেউ সিআরপিএফ, কেউ অসম রাইফেলে চাকরি পেয়েছে। আমাদের ১৮৪ নং সিআরপিএফ ব্যাটালিয়ান তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, কিভাবে তারা এগোতে পারে। ভবিষ্যতে আমরা আরও এই ধরনের কাজ করতে চলেছি। মূলত এই এলাকার মানুষের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই আমাদের এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করা হয়েছে”।
সিআইএসএফে চাকরি পাওয়া সৌরভ মন্ডল, বিএসএফে চাকরি পাওয়া বিদ্যুৎ মান্ডি’রা বলেন, “১৮৪ সিআরপিএফের কাছ থেকে আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ তৈরি করলাম। তাদের জন্যই আমাদের কাছে এত বড় পাওনা। তাদের আমরা অশেষ ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনেও এই প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই তাদের ভবিষ্যৎ গড়বে”।