করোনা আবহে সর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলা করার অনুমতি পেয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে হাই কোর্টের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন সম্ভব হয়নি মেলায়। তবে শুক্রবার ভোর থেকেই বৃষ্টি থাকায় তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কমই ভিড় ছিল গঙ্গাসাগর মেলায়। শুক্রবার বেলা বাড়তেই বৃষ্টি বেড়েছে। আর এর জেরে মেলা প্রাঙ্গনে আরও হালকা হয়েছে সাধু, সন্ত ও তীর্থযাত্রীদের ভিড়। এবার অন্যান্য বারের তুলনায় ভিড় কম ছিল নাগা সাধুদের আখড়াগুলিতেও। সব মিলিয়ে কোভিড আবহে আগের বারের তুলনায় ভিড় কিছু কম থাকায় স্বস্তিতেই ছিল প্রশাসন।
তবে ভিড় কম থাকলেও সংক্রান্তির দিনও বিক্ষিপ্তভাবে ভক্তদের মধ্যে দেখা যায় অসেচতনতার ছবি। অনেকেই মাস্ক ছাড়া দূরত্ববিধি না মেনেই গঙ্গায় পূণ্য ডুব দিয়েছেন। তবে মেলায় আগতদের করোনাবিধি মানতে বলে বিভিন্ন ভাষায় সচেতনতার প্রচার চালায় প্রশাসন। হাই কোর্টের নির্দেশ মতো পূণ্যার্থীদের টিকাকরণের সার্টিফিকেট পরীক্ষার কাজও চলেছে। তবে সব ক্ষেত্রে পরীক্ষা সম্ভব হয়নি। ’৫০ জনের’ নিয়মও পালন হয়নি। আট হাজারের উপরে পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল গঙ্গাসাগর মেলার জন্য। তবুও অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশের নজর এড়িয়ে চেকিং ছাড়াই বহু মানুষ ঢুকে পড়েন। শুক্রবার শুরু হওয়া এই স্নানপর্ব জারি থাকবে রবিবার দুপুর প্রায় সাড়ে বারোটা পর্যন্ত।
শুক্রবার গঙ্গাসাগরে গিয়ে কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী জানান, এবার ই-স্নান করেছেন ২,৭৮,৭৮০ জন মানুষ। অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘দুবাই, লন্ডন, আমেরিকা থেকেও বহু মানুষ আবেদন করেছেন ই-স্নানের জন্য।’ তাছাড়া তিনি জানান, এবার ই-দর্শন করেছেন ২ কোটি ৭৮ হাজার মানুষ, ই-পুজো করেন ১,০৬,৩৬২। এদিন সেখানে গিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতীও। গঙ্গাসাগর মেলা ঘিরে রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এই গেরুয়া নেত্রী। গঙ্গোত্রী থেকে এক যাত্রা শুরু করে তিনি গঙ্গাসাগর পর্যন্ত এসেছেন বলে জানান। আর সাগরে এসে তিনি মমতা সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।