রাজ্যসভার সাংসদদের ৩৩ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মোকদ্দমা। তাঁদের মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে ১৪ শতাংশ বিলিয়নিয়ার। এমনই দাবি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস্’ (এডিআর)-এর রিপোর্টে।
এডিআর এবং ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ (এনইডব্লু)-এর যৌথ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে, দু’জন রাজ্যসভার সাংসদ আছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা চলছে। অর্থাৎ, খুনের আসামী। রাজ্যসভার চার সাংসদের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টার ধারায় মামলা দায়ের আছে। মোট ২২৫ জন রাজ্যসভার সাংসদের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফল নিয়ে তৈরি হয়েছে রিপোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে, ২২৫ জন সাংসদের মধ্যে ৭৫ জন জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মোকদ্দমা রয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে ৩৩ শতাংশ। আর ৪০ জন সাংসদের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের মামলা চলছে। যা মোট সাংসদ সংখ্যার ১৮ শতাংশ।
সমীক্ষায় রাজনৈতিক দল ধরে ধরে এই হিসাব করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদদের মধ্যে ২৩ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। দ্বিতীয় স্থানে কংগ্রেস। তাদের ২৮ জন সাংসদের নামে ফৌজদারি মামলা চলছে। তৃতীয় স্থানে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ১৩ সাংসদের মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, যা প্রায় ৩৮ শতাংশ।
রাজ্যসভার মোট সদস্য সংখ্যা ২৩৩। কিন্তু বর্তমানে মহারাষ্ট্রের একটি এবং জম্মু-কাশ্মীরের চারটি আসন খালি। তিন জন সাংসদের খতিয়ান পাওয়া যায়নি। এডিআরের রিপোর্টে উঠে এসেছে সাংসদদের সম্পত্তির বিষয়টিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যসভার ২২৫ জন সদস্যের সম্পত্তির মিলিত পরিমাণ ১৯ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এই হিসাবে প্রত্যেক রাজ্যসভার সদস্যের গড় সম্পদের পরিমাণ ৮৭ কোটি ১২ লক্ষ টাকা করে। তার মধ্যে ৩১ জন সাংসদ অর্থাৎ, ১৪ শতাংশ বিলিয়নিয়ার (একশোকোটিপতি)।