ব্যাঙ্ক প্রতারণার শিকার মধ্যমগ্রামের এক দম্পতি। তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া গেল সাড়ে চার লক্ষ টাকারও বেশি। ওই দম্পতির অভিযোগ, ব্যাঙ্ক তাঁদের কোনও সহযোগিতা করেনি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বারাসাত পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদয় মণ্ডল এবং তাঁর স্ত্রী সোমা মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রতারিতরা। বুধবার ওই দম্পতির কাছে ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, তাঁদের ক্রেডিট কার্ড ব্লক করে দেওয়া হবে। এই ভয় দেখিয়ে তাঁদের থেকে ওটিপি নিয়ে নেওয়া হয়। এর পর ধাপে ধাপে ওই দম্পতির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়।
দম্পতির অভিযোগ, তাঁদের ২টি ফিক্সড ডিপোজিট থেকে ঋণের আবেদন করেন অভিযুক্তেরা। তার পর সেখান থেকে ঋণের টাকা তুলে নেন। সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অন্য একটি ফিক্সড ডিপোজিট থেকে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৫০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ওই দম্পতির সেভিংস অ্যাকাউন্টে ছিল ১ লক্ষ ২০ হাজার ৪০২ টাকা। সেখান থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৩০০ টাকা তুলে নিয়েছেন অভিযুক্তের বলে দম্পতি দাবি করেছেন। এই দম্পতির অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে ওই পরিবার মধ্যমগ্রাম থানায় যোগাযোগ করেন। সেখানে অভিযোগ করার পর বারাসতের সাইবার অপরাধ দমন শাখায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, এ বিষয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আলাদা করে কোনও সহযোগিতা করেননি। যখন ধাপে ধাপে টাকা তোলা হচ্ছিল, তখনও কেন তাঁদের আলাদা করে সতর্ক করা হয়নি! পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।