পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আশেপাশে ‘হেরিটেজ করিডোর’ প্রকল্পের অধীনে চলা নির্মাণ কাজ নিয়ে বিতর্ক থামার নাম নেই। এই প্রসঙ্গে এবার ভূবনেশ্বরের বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারাঙ্গি দাবি করলেন যে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতেই ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ওডিশা সরকারকে এই নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলেছিল। এদিকে পুরীর বিজেপি বিধায়ক জয়ন্ত কুমার সারাঙ্গি অভিযোগ করেছেন, হেরিটেজ করিডোরের নির্মাণ কাজ শুরু হতেই মন্দিরের গায়ে ফাটল দেখা দিয়েছে।
পুরীর এএসআই-এর সংরক্ষণ সহকারীর লেখা একটি চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে সারঙ্গি বলেছেন যে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলির বিধি ৩২ এর অধীনে জারি করা ১৯৯২ সালের বিজ্ঞপ্তি, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এবং অবশিষ্টাংশ বিধি ১৯৫৯, প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এবং অবশিষ্টাংশ (সংশোধন এবং বৈধতা) আইন ২০১০-এর অধীনে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, স্মৃতিস্তম্ভের সংরক্ষিত সীমা থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকাকে ‘ নিষিদ্ধ এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই আবহে সারাঙ্গি মন্দিরের সীমানা প্রাচীরের কাছাকাছি খনন কাজ বন্ধের দাবি তুলেছেন।
সারাঙ্গি বলেন, ‘এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের ২০০ মিটার বাইরে পর্যন্ত যে কোনও ধরনের খনন ও নির্মাণ নিষিদ্ধ এবং নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যে কোনও ধরনের অনুমোদিত নির্মাণ ও খনিজ কার্যক্রমের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন।’ এই আবহে সারাঙ্গির দাবি, ওবিসিসিকে মন্দিরের নিষিদ্ধ এলাকায় নির্মাণের অনুমতি দেওয়া উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র দেখাতে বলেছিল এএসআই কর্তৃপক্ষ। তবে তা দেখাতে পারেনি ওবিসিসি। এই বিতর্কের মাঝেই ওডিশার মুখ্য সচিব সুরেশ মহাপাত্র বলেছেন জগন্নাথ মন্দিরের চারপাশের সমস্ত কাজ এএসআই-এর সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে চালানো হচ্ছে। এর আগে গত সপ্তাহে সংসদে সারাঙ্গির সঙ্গে এই ঘটনা প্রসঙ্গে সংসদে তীব্র বাদানুবাদ হয়েছিল পুরীর সাংসদ পিনাকি মিশ্রর। এই আবহে এবার নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়ে নয়া দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ।