ট্রলার বোঝাই করে রাজ্যে আনা হচ্ছিল গোরু। সমুদ্রপথে ওড়িশা থেকে ওইসব গোরুকে এনে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে ঢুকতেই তাদের ধরে ফেলল গ্রামবাসী। গোরু যারা এনেছিল তাদের কাছে কেনাবেচার কোনও বৈধ কাগজ নেই বলেই দাবি গ্রামের মানুষের। পুলিস এসে ওইসব গোরু আটক করে।
স্থানীয়দের দাবি, ওড়িশা থেকে ওইসব গোরু সমুদ্র পথে আনা হয় পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। সমুদ্রপথে একটি ট্রলার ওইসব গোরু নিয়ে ঢুকেছিল মন্দারমনি থানার দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর এলাকার শৌলাতে। সমুদ্র থেকে ছোট নদী দিয়ে তা ঢোকানো হয় গ্রামের মধ্যে। গোরুগুলিকে নামানো হয় একটি ঘাটে। ওইসব গোরু গ্রামবাসীর চোখে পড়তেই তারা সেগুলিকে আটকে দেন। একটি পুকুরপাড়ে গাছের সঙ্গে ৩০-৪০টি গোরু বেঁধে রেখে খবর দেন থানায়। পুলিস এসে গোরুগুলিকে আটক করে। যারা ওইসব গোরু এনেছিল তারা কোনও বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি।
শৌলার বাসিন্দা নারায়ণ মণ্ডল বলেন, যারা সমুদ্রে মাছ ধরেন তারাই প্রথম দেখতে পান একটি বড় ট্রলারে চাপিয়ে এনে বহু গোরু এখানে নামানো হয়েছে। এই শ্মশানের ঘাটে ওইসব গোরু নামানো হয়েছে। যে ৫-৭ জন গোরু নামিয়েছিল তাদের জিজ্ঞাসা করলাম। ওরা বলেছে যে ওরা ওড়িশার ব্যবসায়ী। সেখান থেকেই গোরুগুলো আনা হয়েছে। এখানকার এক ব্যবসায়ীকে বিক্রি করবে। থানায় খবর দিয়েছিলাম। আমরা বলেছি কাগজ দেখাক গোরু ছেড়ে দেব। এখান থেকে গোরু পাচারের সুবিধে তাই এই জায়গাটা বেছে নিয়েছে। স্থল পথের থেকে জলপথে গোরু নিয়ে যাওয়া নিরাপদ তাই ওরা এই পথে বেছে নিয়েছে।