পরীক্ষার কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল সমালোচনা। কার্যত এবার তারই ধাক্কায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য গো-বিজ্ঞান পরীক্ষা (Cow science exam) বন্ধ করে দিল রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ (Rashtriya Kamdhenu Aayog)। আগামী বৃহস্পতিবার ওই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই কামধেনু আয়োগের তরফে একটি নোটিস জারি করে পরীক্ষা স্থগিত রাখার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ইউজিসি দেশের ৯০০ বিশ্ববিদ্যালয়কে এই পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। ৫ লক্ষ লোক অনলাইনে পরীক্ষা দিতে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কেন আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে এই পরীক্ষা, সেবিষয়ে নোটিসে কিছু জানানো হয়নি। পরীক্ষা ফের কবে হতে পারে, সেবিষয়েও কিছু বলা হয়নি। গত ২০ ফেব্রুয়ারি আয়োগের সভাপতি বল্লভভাই কাঠিরিয়া তাঁর দু’বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করেছেন। তিনি সরে যাওয়ার পরই পরীক্ষা বাতিলের এই সিদ্ধান্ত।
এই পরীক্ষার কথা ঘোষণার পর থেকেই দানা বেঁধেছিল বিতর্ক। গত ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কাঠিরিয়া। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, ”গরুর সবটাই তো বিজ্ঞান। আমরা যখন ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির কথা বলি, তখন তার মধ্যে দেশের ১৯ কোটি ৪২ লক্ষ গরুর প্রসঙ্গও আসে। কেননা দেশের অর্থনীতিতে তারাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমনকী, কোনও গরু যদি দুধও না দেয় তার প্রস্রাব ও গোবরও কিন্তু মূল্যবান। আমরা এগুলির ব্যবহার করলে অর্থনীতিই সঠিক পথে থাকবে।”
শুধু তাই নয়, ৫৪ পাতার পাঠ্যক্রমও প্রকাশ করা হয়। তাতে বিদেশি গরুদের থেকে ভারতীয় গরু কত উন্নত সেই প্রশস্তি রয়েছে। স্বদেশীয় গরুর আবেগ থেকে গোবরের উপকারিতা-সহ নানা বিষয়ই রয়েছে সেখানে। যার মধ্যে রয়েছে গোহত্যার সঙ্গে ভূমিকম্পের সম্পর্ক নিয়ে অদ্ভুত দাবি। ওই পাঠ্যক্রম প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। পরে নিজেদের ওয়েবসাইট থেকে তা সরিয়ে নেয় রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ। অবশেষে স্থগিত রাখা হল পরীক্ষা।