সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নিজশাল্লা গ্রামের আলীনগর পাড়ার কালীমন্দিরের দরজায় গরুর ভুঁড়ি দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে গেছে দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় স্থানীয় সনাতন ধর্মীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঈদুল আজহার পরদিন রাতে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি স্থানীয়রা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও ঘটনার ৮ দিন পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিজশাল্লা গ্রামের আলীনগর পাড়ায় এখন প্রায় ৫০ পরিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাস। ঈদুল আজহার এক সপ্তাহ আগে গ্রামের জয়দেব দাসকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মারধর করেন গ্রামের প্রভাবশালী আব্দুস সালাম। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ঈদের পরদিন রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা আলীনগর গ্রামের রাখাল দাসের বাড়ির কালীমন্দিরের দরজায় গরুর ভুঁড়ি বেঁধে রেখে যায়। সকালে বিষয়টি দেখে ক্ষুব্দ হন সনাতনধর্মীরা।
আলীনগর কালিমন্দিরের পার্শবর্তী বসতঘরের বাসিন্দা প্রাণেশ দাস বলেন, আমরা শত বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করছি। আমাদের অনেকেই নানা কারণে এলাকা ছেড়ে ধিরে ধিরে চলে যাচ্ছেন। অতীতে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। এভাবে আমাদের পবিত্র মন্দিরে কোরবানির গরুর ভুঁড়ি দড়ি দিয়ে বেঁধে মন্দিরের দরোজায় রেখে যাবে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।
ঘটনার ৮ দিন পরও উদাসীন স্থানীয় প্রশাসন। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূর আলম বলেন, এই বিষয়টি শুনেছি। গ্রামবাসী আনুষ্ঠানিকভাবে হিন্দুসম্প্রদায়ের কাছে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা আজ বিট পুলিশিং করে এ বিষয়সহ এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি বিষয়ে মতবিনিময় করব।