মর্মান্তিক। বিয়ের দিন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু বিয়ের কাটার আগেই নিভে গেল সব রোশনাই। বিয়ের রাতেই মৃত্যু হল বর-কনের। উত্তর প্রদেশের বাহারাইচের ওই ঘটনায় তোলপাড় এলাকা। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে দম্পত্তির। প্রশ্ন উঠছে, একসঙ্গে কীভাবে দুজনেরই হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেল। কীভাবেই বা দুজনেই মারা গেল।
গত মঙ্গলবার বাহারাইচের যুবক প্রতাপ যাদবের(২৪) সঙ্গে বিয়ে হয় পুস্পা যাদবের(২২)। বিয়ের পর বুধবার তারা তাঁদের বাড়িতে ফিরে আসেন। পরদিনই সকালে তোলপাড় প্রতাপের বাড়ি। দেখা যায় স্বামী ও স্ত্রী, দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে। স্তব্ধ হয়ে যায় বিয়েবাড়ির আনন্দ। পুলিস এসে তদন্তে শুরু করে। চলে আসে ফরেন্সিক টিম। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনও বের হয়নি। তবে বাহারাইচের এসপি প্রশান্ত ভার্মার কথা অনুযায়ী ময়না তদন্তে রিপোর্টে হার্ট অ্য়াটাকে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। শেষপর্যন্ত দুজনকেই একই চিতায় দাহ করা হয়।
পুলিস সুপার আরও জানিয়েছেন, ফরেন্সিক টিম ওই যুগলের ঘর পরীক্ষা করে দেখেছে। দেখা গিয়েছি ঘরে বাতাস চলাচলের অভাব ছিল। ঘরে কোনও ফ্য়ান ছিল না। ফলে হার্ট অ্য়াটাকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। লখনউয়ের স্টেট ফরেন্সিক ল্য়াবরেটরিতে মৃত দুজনের ভিসেরা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। তবে এখনও ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও ষড়যন্ত্রের খোঁজ এখনও পাওয়া যাচ্ছে না।
কীভাবে ঘটে গেল এমন ঘটনা? পরিবারের দাবি, প্রতাপ ও পুস্পা কারও কোনও বড় অসুখ ছিল না। বিয়ের পরের রাতে তাদের ঘরে বাইরের কারও তাদের ঘরে ঢোকার কোনও ইঙ্গিত ছিল না। দুজনের শরীরের আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। ফলে কীভাবে এতবড় ঘটনা সেটাই এখন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
কাইসারগঞ্জের ইন্সপেক্টর ইন চার্জ রাজনাথ সিং তদন্ত রিপোর্টে হার্ট অ্য়াটাকের প্রশ্ন নিয়ে নিয়ে কিছু বলতে নারাজ। তবে তিনি বলেন, ওই দুজনে মৃত্যু নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হচ্ছে। আশাকরি সব রহস্যের উন্মোচন হবে।