এশিয়ান গেমসে ফুটবলার ছাড়া নিয়ে জাতীয় দলের সঙ্গে ক্লাবগুলির লড়াই চলছে। এর মাঝে এশিয়ান গেমস খেলতে যাচ্ছেন সুনীল ছেত্রী। ভারত অধিনায়কের মতে সব সময় দেশকেই এগিয়ে রাখা উচিত। ভারতীয় দলের অনুশীলনের জন্য আগে থেকে ফুটবলারদের নিয়ে শিবির করাতে চেয়েছিলেন কোচ ইগর স্তিমাচ। কিন্তু অনেক ক্লাবই ফুটবলার ছাড়তে রাজি হয়নি।
১৮ বছর ধরে দেশের হয়ে খেলছেন ছেত্রী। ৩৯ বছরের এই ফুটবলার দেশের হয়ে খেলার জন্য এগিয়ে এসেছেন। এশিয়ান গেমসে সন্দেশ জিঙ্ঘন এবং গুরপ্রীত সিংহের খেলার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের পাওয়া যায়নি। ক্লাব ছাড়তে চায়নি। গত মাসে যে ২২ জনের দল ঘোষণা করা হয়েছিল তার মধ্যে মোট ১৩ জন ফুটবলারকে ছাড়তে রাজি হয়নি ক্লাবগুলি।
ভারতীয় ফুটবল সংস্থা ছেত্রী-সহ ১৮ জনের দল ঘোষণা করেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক কর্তা বলেন, “ছেত্রী অনেক বড় মাপের খেলোয়াড়। কিন্তু ওর সঙ্গে তেমন শক্তিশালী দল পাঠাতে পারছি না আমরা। বাকিদের যখন ক্লাব ছাড়েনি, ছেত্রী তখন নিজে এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছে। দেশের জন্য এশিয়ান গেমসে খেলতে চায় ও। আমরা জানতাম ও এগিয়ে এসে দেশের জন্য খেলবে। দেশকে গুরুত্ব দেবে। সেটাই করেছে ও।”
আইএসএলে ছেত্রী খেলেন বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে। ২২ জনের যে ভারতীয় দল প্রথমে ঘোষণা করা হয়েছিল, সেখানে ছ’জন ছিলেন এই ক্লাবের। কিন্তু ক্লাব ছেড়েছে মাত্র দু’জনকে। ছেত্রী ছাড়া এশিয়ান গেমস খেলতে যাবেন বেঙ্গালুরু এফসি-র রোহিত দানু। ওই কর্তা বলেন, “ক্লাব ছেড়েছে বলেই তো ছেত্রী যাচ্ছে। বেঙ্গালুরুকে সেই জন্য ধন্যবাদ। দলের সেরা ফুটবলারকে ওরা ছেড়ে দিয়েছে। এই সময় ছাড়ার কথা ফিফা বলেনি। তার পরেও ওরা ছেড়েছে।”
এশিয়ান গেমস ফিফার আন্তর্জাতিক সূচিতে থাকে না। সেই কারণে ফুটবলার ছাড়তে বাধ্য নয় কোনও ক্লাবই। এশিয়ান গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলারেরাই মূলত খেলে। শুধু তিন জন সিনিয়র ফুটবলার খেলানোর অনুমতি আছে। তৃতীয় বার এশিয়ান গেমসে খেলতে নামবেন ছেত্রী। ২০০৬ সালে প্রথম বার খেলেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ২২ বছর। ভাইচুং ভুটিয়ার নেতৃত্বে সে বার খেলেছিল ভারত। বব হাউটন ছিলেন কোচ। সে বার হংকংয়ের সঙ্গে ড্র (১-১) করেছিল ভারত। মলদ্বীপের বিরুদ্ধে জিতেছিল (২-১) এবং ইরানের (০-২) কাছে হেরে গিয়েছিল। গ্রুপ পর্ব থেকেই সে বার বিদায় নেয় ভারত। ২০১৪ সালে ছেত্রীর নেতৃত্বেই খেলেছিল ভারত। সে বারও গ্রুপ পর্বেই শেষ হয়ে যায় ভারতের এশিয়ান গেমস যাত্রা। জর্ডান (০-২) এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (০-৫) বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল ভারত।