চিনে চলতি সপ্তাহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হল আরও ৬৪ জনের। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৪২৫ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করল চিন। হুবেই প্রদেশেই ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ। সেখানকার হেলথ কমিশন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে ২৩৪৫ জনের। সব মিলিয়ে চিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৫৫০ জন।
আন্তর্জাতিক একটি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে রবিবার পূর্ব চিনের ওয়েনঝাউয়ের রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছে সরকার, লোকজনকে ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
হুবেইয়ের রাজধানী ইউহান থেকে এই ভাইরাস প্রথম ছড়াতে শুরু করে। এখন চিনের সব প্রান্ত তো বটেই, এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে। করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এখন বিশ্বজুড়ে। এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরে আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তারপরে বিশ্বের সব দেশই তাদের নাগরিকদের ইউহান থেকে নিজেদের দেশে ফেরাতে শুরু করেছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০ দিনের মধ্যে একটি এক হাজার শয্যার হাসপাতাল চালু করে দিয়েছে চিন, আরও একটি দেড় হাজার শয্যার হাসপাতাল তারা চালু করতে চলেছে বলে খবর।
ফিলিপিন্সে রবিবার করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চিনের বাইরে কোনও দেশে করোনাভাইরাসে এটাই প্রথম মৃত্যু। স্বভাবতই আতঙ্কিত এই দ্বীপরাষ্ট্রটিও।
ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দ্বিতীয় ব্যক্তির সন্ধান মিলছে কেরলে। ইতিমধ্যেই ৬০০ জন ভারতীয়কে বিমানযোগে চিন থেকে দেশে ফিরিয়েছে ভারত।
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে হংকংয়ে সোমবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসাকর্মীদের একাংশ। তাঁরা দাবি করেছেন, চিনের সঙ্গে এই শহরের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হোক। এই দাবি মানা না হলে আরও বহু চিকিৎসাকর্মী এই ধর্মঘটে যোগ দেবেন বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন। হংকংয়ে এখনও পর্যন্ত পনেরো জন করোনাভাইরাস আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে।
চিনের সঙ্গে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া ও নেপাল। বিদেশি নাগরিকদের ঢোকা ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। এখনও পর্যন্ত ভারত-সহ মোট ২৪টি দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১১ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই আতঙ্কের মধ্যেই চিনকে সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে আমেরিকা। সূত্রের খবর, সেই সাহায্য প্রত্যাখ্যান করেছে চিন।