করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করেছেন এক চিকিৎসক! এই ঘটনায় গোটা জেলায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। চিকিৎসক নিজে যখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তখন কেন চিকিৎসা করলেন? একজন চিকিৎসক হয়ে এই কাজ করলেন কী করে? উঠেছে প্রশ্ন। এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। সেখানের বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে এক চিকিৎসকের এই কাজে তীব্র আলোড়ন শুরু হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন ওই চিকিৎসক? করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই চিকিৎসকের সাফাই, ‘এই হাসপাতালে এখন চিকিৎসক নেই। কারণ অধিকাংশ চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে চিকিৎসা করতে হয়েছে আমাকে।’ কিন্তু এই সাফাইয়ে সাধারণ মানুষের চিঁড়ে ভিজছে না। এই ঘটনায় চেঁচামিচি জুড়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। একজন চিকিৎসক হয়ে মানুষকে সচেতন করার পরিবর্তে সংক্রমণ সমেত চিকিৎসা করলেন—মেনে নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। এই বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিএমওএইচ) ধীমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাবেন স্থানীয় বাসিন্দারা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকী রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছেও চিঠি লেখা হবে বলে সিদ্ধান্ত তাঁদের।
এই হাসাপাতালে আরও যেসব রোগী আছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও জোর চিৎকার জুড়ে দিয়েছেন। ফলে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় রোগীর আত্মীয় এবং এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, এরপর কেউ আক্রান্ত হলে তার দায় কে নেবে? কী ভাবে ওই চিকিৎসককে দিয়ে কাজ করানো হল, বিএমওএইচ–কে তার জবাব দিতে হবে।