বইমেলায় প্রেস ক্লাবের অনুষ্ঠান ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক তুঙ্গে

 কলকাতা বইমেলায় প্রেস ক্লাবের অনুষ্ঠান ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক তুঙ্গে।

বিতর্কের শুরু পুরভোটে কর্মরত কিছু সাংবাদিকের প্রহৃত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এ ব্যাপারে অভিযোগের তির রাজ্যের শাসক দলের দিকে। কিন্তু কলকাতা প্রেস ক্লাব এ ব্যাপারে কোনও বিবৃতি দেয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দেয় ক্লাবের সদস্যদের একাংশের মধ্যে। ইতিমধ্যে ক্লাব কর্তৃপক্ষ প্রয়াত দুই প্রথিতযশা সাংবাদিক গৌরকিশোর ঘোষ ও শংকর ঘোষের জন্মশতবর্ষে ৬ মার্চ কলকাতা বইমেলায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কড়া ভাষায় চিঠিতে এর প্রতিবাদ জানান সুপরিচিত সাংবাদিক প্রসূণ আচার্য। শনিবার সন্ধ্যা সওয়া সাতটা পর্যন্ত এতে লাইক, মন্তব্য ও শেয়ারের সংখ্যা যথাক্রমে ২৯০, ১১৫ ও ৪০।

বিশিষ্ট সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায় শনিবার সন্ধ্যায় লেখেন, “শুনলাম বইমেলায় প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে দুই যশস্বী সাংবাদিককে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।গৌরকিশোর ঘোষ ও শংকর ঘোষ। সাধু উদ্যোগ, অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য! কলকাতার প্রেস ক্লাব সদস্যদের একটি বড় চরিত্র লক্ষণ হোল মাল আর ক্যাঁচাল দু’টোর প্রতিই সমনাসক্তি। দেখছি এই অনুষ্ঠান নিয়েও যথারীতি অপরাধ জগতের শব্দকোষের ওপর নির্ভর করে কবির লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। আনন্দবাজারে আমার অতি প্রিয় ও স্পষ্টবাদী সহকর্মী প্রসূন আচার্য উদ্যোক্তাদের তেড়ে গাল দিয়ে ঘৃণার সঙ্গে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে।

https://www.facebook.com/1504399066553569/posts/3177293522597440/

ওরে প্রসূন তুই তো তবু আমন্ত্রণপত্র পেয়েছিস, আমি তো সেটাও পাইনি। কেন পাইনি তাও তো জানিনা। বাঁদরের গলায় বারেবারে মুক্তোর মালা পরানো হলে এমন ঘটনা অনিবার্য। কোনদিন শুনব সাংবাদিক-বান্ধব রাজনীতিক হিসেবে অনুব্রত মন্ডলকে সম্বর্ধনা দেবে প্রেস ক্লাব। জয় মা।“ পোস্ট করার প্রথম এক ঘন্টায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এতে লাইক, মন্তব্য ও শেয়ারের সংখ্যা যথাক্রমে ১৯৩, ১৮ ও ৬।

এর আগে শনিবার দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ ক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদকের ছবি-যুক্ত করে বিজেপি নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে ‘দুই গুণী’ শিরোনামে লেখেন, “দূরদর্শনের স্নেহাশিস সুর আর প্রতিদিনের কিংশুক প্রামাণিক। মমতা অ্যাপয়েন্টেড প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবং সম্পাদক। পুরসভা নির্বাচনে সাংবাদিকরা বেধড়ক ঠেঙ্গানি খাওয়ার পরও তাঁদের মুখ বন্ধ। একটি প্রতিবাদও প্রেস ক্লাব থেকে হয়নি। দিল্লী প্রেস ক্লাব প্রতিবাদ করে বিবৃতি দিয়েছে। এঁরা দেননি। মমতার গৃহপালিত পোষ্য বলে। সারমেয়দের মারলে তারাও রুখে দাঁড়ায়। এঁরা দাঁড়াননি। তার কারণ অসীম প্রভু ভক্তি। পাছে প্রভু বিষণ্ণ হন। এখন আবার এই দুই যুগল নেমেছেন প্রেস ক্লাবের হয়ে সেমিনার করতে। আনন্দবাজারের প্রাক্তন সাংবাদিক প্রসূন আচার্যকে নির্লজ্জের মত আমন্ত্রণ পত্র পাঠিয়েছিলেন। জবাবে প্রসূন সপাটে কাছা খুলে দিয়েছেন দুই চাটুকার পোষ্য যুগলের।” রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত এই পোস্টে লাইক, মন্তব্য ও শেয়ারের সংখ্যা যথাক্রমে ১ হাজার ২০০, ৭৫ ও ২১৪।

https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=2977809159138814&id=100007292772099

ক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদককে উদ্দেশ করে প্রসূণ লিখেছেন, “ফ্রিডম অফ প্রেসে বিশ্বাসী, সাংবাদিক নিগ্রহে প্রতিবাদী, জেল খাটা গৌরকিশোর ঘোষ এবং শংকর ঘোষের স্মরণে কোনও অনুষ্ঠান করার নৈতিক অধিকার আপনাদের নেই। আপনাদের আমন্ত্রণপত্র পেলাম মেইলের মাধ্যমে। ভালো লাগলো। আপনারা দুই প্রথিতযশা সাংবাদিক গৌরকিশোর ঘোষ ও শংকর ঘোষের জন্মশতবর্ষে আগামী ৬ মার্চ কলকাতা বইমেলায় অনুষ্ঠান করছেন। গৌরদার স্মরণে বক্তৃতা দেবেন আমাদের সময়ের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গল্পকার প্রচেত গুপ্ত। এছাড়া, ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শংকর ঘোষের উপর স্মারক বই প্রকাশ হবে। নিঃশঙ্ক।

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, এই দুই সাংবাদিকই চিরকাল সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। এবং সাংবাদিকদের পেশাগত স্বার্থ যেখানে লঙ্ঘিত হয়েছে, সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে শাসক ও তাদের বসংবদরা বাধা দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে তাঁরা প্রতিবাদ করেছেন। এটাই কলকাতা, জেলা, দেশ ও বিদেশের সাধারণ সাংবাদিকরা করে থাকেন বা অতীতে করতেন। আমার ৩৪ বছরের অভিজ্ঞতা তাই বলে।

গৌরদা এই প্রেস ক্লাবের সম্পাদক ছিলেন, আজ থেকে ৬০ বছর আগে। ১৯৬২ সালে। সাতের দশকে তৎকালীন দেশের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর বিভিন্ন স্বৈরতান্ত্রিক নীতি ও রাজনীতির বিরুদ্ধে কলম তুলে নিয়েছিলেন। কলম তুলে নিয়েছিলেন বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের একনায়কতান্ত্রিক ভূমিকা ও মনোভাবের বিরুদ্ধেও। তারজন্য জরুরীশাসন কালে তাঁকে দীর্ঘ দিন জেলে কাটাতে হয়েছে। প্রায় একই সঙ্গে একই কারণ জেলে ছিলেন আমার সাংবাদিকতার দীক্ষাগুরু ও জীবনের প্রথম কর্মদাতা মালিক তথা সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্ত এবং রাজনৈতিক সংবাদদাতা নিশীথ দে। বলা বাহুল্য সকলেই আজ প্রয়াত।

গৌরদার মৃত্যুর পরে কলকাতার অ্যাকাডেমি প্রেক্ষাগৃহে যে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সেখানে বরুণদা মঞ্চের ঠিক নিচে, বাম দিকে ঠায় দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি সামনের চেয়ারে বসেছিলাম। বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও গৌরদার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই সম্ভবত বরুণদা বসেননি। ততদিনে আমি বরুণদার বর্তমান কাগজ ছেড়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় যোগ দিয়েছি। সেই দিনই পরে বরুণদা আমাকে বলেছিলেন, পারলে গৌরদার মত সাহসী সাংবাদিক হও। আমি জানি, হাজার চেষ্টা করলেও আমি এঁদের নখের সমতুল্য কোনও দিন হতে পারবো না।

শুধু ইমার্জেন্সির সময় গৌরদা জেলে গিয়েছেন তা নয়। তিনি কংগ্রেস আমলে ভাগলপুর দাঙ্গায় বিহার ছুটে গিয়েছেন। আবার কলকাতায় বাম আমলে একাধিক বার সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় তিনি শুধু প্রতিবাদ করেই থেমে থাকেননি, অসুস্থ শরীরেও পথে নেমে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছেন। তিনি কংগ্রেসের আনা বিহার প্রেস বিলের বিরুদ্ধেও যেমন পথে নেমেছেন, তেমনি ১৯৯২ সালে আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশীদের উপস্থিতিতে করসেবকরা বাবরি মসজিদ ভাঙার পরে কলকাতায় যে দাঙ্গা হয়েছিল, তাতেও পথে নেমেছিলেন। প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই দিন, ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বহু সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিক করসেবকদের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন। গৌরদার এই প্রতিবাদী ভূমিকা আমার চোখে দেখা।

https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=4918152594898311&id=100001108562043

আমার সঙ্গে শংকর ঘোষের কোনও দিন পরিচয় হয়নি। কিন্তু আমি তাঁর লেখা কিছু পড়েছি। উনিও আপোষহীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করতেন। সেই কারণেই বোধ হয় আপনারা বইয়ের নাম রেখেছেন নিঃশঙ্ক। কিন্তু আমি অত্যন্ত মানসিক পীড়ার সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, এই ২০২২ এর ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলার ১০৮ টি পুরসভার ভোটে কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পেশাগত কারণে সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিক বা ক্যামেরাপার্সনরা নিগৃহীত, লাঞ্ছিত হলেও আপনারা দুই জন একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না। কোনও বিবৃতি দিলেন না। ঘটনার দুই দিন পরে দিল্লি থেকে প্রেস ক্লাব অফ ইণ্ডিয়া ও তাদের সভাপতি উমাকান্ত বিবৃতি দিলেও আপনারা নীরব ! কয়েক জন কার্যকরী সদস্য এবং সাধারণ সদস্য আমাকে বলেছেন, এই ব্যাপারে আপনাদের ফোন করে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করলেও আপনারা মৌনব্রত অবলম্বন করাই শ্রেষ্ঠ পথ বলে মনে করেছেন। জানি না তার কী কারণ! তৃণমূলের মহাসচিব তো দেখলাম সাংবাদিক নিগ্রহের নিন্দা করেছেন। কিন্তু আপনারা চুপ।

আমি আপনাদের দুই জনের থেকে কম দিন ক্ষমতার কাছাকাছি থাকিনি। হয়ত পেশাগত কারণে কিঞ্চিৎ বেশিই থেকেছি। কিন্তু তাই বলে, সাংবাদিক নিগ্রহ হলে কোনও অজানা কারণে নিন্দা সূচক একটা শব্দও মুখ বা কলম থেকে বেরোবে না ? এরপরেও কি মনে করেন, আপনাদের দুই জনের মাননীয় গৌরকিশোর ঘোষের উপর স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা এবং শংকর ঘোষের উপরে কোনও স্মারক বই প্রকাশ করার নৈতিক অধিকার আছে?

আমি মনে করি নেই। আপনারা ভাবের ঘরে চুরি বা তঞ্চকতা করছেন। তাই অতীতে আপনাদের আমন্ত্রণ রক্ষায় সুদূর অসমের শিবসাগর থেকে বিমানে করে কলকাতা প্রেস ক্লাবে ছুটে এলেও এই বার ঘৃণার সঙ্গে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলাম। শুধু একটা কথা বলে যাই, চিরকাল কেউ এই ক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদক থাকতে পারেন না। একদিন না একদিন তাঁকে পদ ছাড়তেই হয়। সেই দিন কিন্তু আপনাদের সময় কালের অনেক ভালো ও উন্নয়নমূলক কাজও শুধু এই মৌন থাকার অপরাধের কারণই ঢাকা পড়ে যাবে। মানুষ এটাই মনে রাখবে।

কলকাতার ছোট বড় মিডিয়া হাউসের ভবিষৎ প্রজন্ম, যাঁরা অনেকেই সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে আঁকড়ে বেঁচে থাকতে চান, বিশেষ করে টিভি চ্যানেল, ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্ম বা জেলার ছোট কাগজ এর সাংবাদিকরা, যাঁরা সব ব্যাপারেই কলকাতা প্রেস ক্লাবের সুমহান ঐতিহ্যের দিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকিয়ে থাকেন, তাঁরা কোনও দিনই আপনাদের এই মৌন ভূমিকার জন্য ক্ষমা করবে না। কারণ তাঁরাই সবার সফট টার্গেট হন। আপনারা ক্যামেরায় তুলে ধরা সাংবাদিক নিগ্রহ নিয়ে নিন্দা করে দোষীদের গ্রেফতারের সামান্য দাবিটুকু করতে পারলেন না ? বার বার এই প্রশ্ন আপনাদের রাতঘুমের দুঃস্বপ্নের কারণ হবে।“ চিঠির শেষে ‘দি টেলিগ্রাফ’-এর বিশেষ সংবাদদাতা, আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন বিশেষ রাজনৈতিক সংবাদদাতা ও বর্তমানএর প্রাক্তন সিনিয়র রিপোর্টার-এর উল্লেখ করেছেন।

সিপিআইয়ের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি মঞ্জুকুমার মজুমদার প্রতিক্রিয়ায় প্রসূণবাবুকে লিখেছেন, “আপনার চিঠিটা মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। ধন্যবাদ আপনাকে। ঐ সময়ের কথা মনে করলে আমার অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করে কিন্তু সব কথা বলার থাকলেও বলতে পারি না। কারণটা আপনার জানা। পাটির মধ্যে আমাদের লড়াই পাটির অবস্থানের জন্য। এতদ সত্বেও আমরা লড়ে ছিলাম। তার পর পার্টি তার অবস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। যাক আর বেশি কথা বলতে চাই না। আবার ধন্যবাদ জানাই।“

ক্লাবের দীর্ঘ সময়ের প্রাক্তন সম্পাদক কাজী গোলাম গউস সিদ্দিকি প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, “আমার মনে আছে, আমি তখন ক্লাবের সম্পাদক।জঙ্গল মহলে সাংবাদিকের পরিচয়পত্র নিয়ে পুলিশ এক রাজনৈতিক কর্মীকে গ্রেফতার করে। সঙ্গে তখনকার শাসকদলের কিছু সদস্য সাংবাদিকদের নিগ্রহ করে। প্রেস ক্লাবে মিটিং করে আমি তখন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদের ভট্টাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছিলাম। অন্য বক্তারাও বুদ্ধবাবুর সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। সাংবাদিক নিগ্রহের প্রতিবাদে প্রেস ক্লাব, কলকাতা বহুবার মিছিল করেছে। নিদেনপক্ষে বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ করেছে এমন উদাহরণ বোধ হয় ৩০-৩৫ পেরিয়ে যাবে।”

যদিও ক্লাব-পরিচালকদের শুভানুধ্যায়ীদের দাবি, ক্লাব বছরভর সদস্যদের জন্য নানা ইতিবাচক পরিকল্পনা করে। এর জন্য নানা সহায়তা দেয় রাজ্য সরকার। যাঁরা সদস্য নন, এমন অনেক সাংবাদিক করোনাকালে টিকা দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সহযোগিতা পেয়েছেন। প্রবীন আবেদনকারী অনেক নথিভূক্ত সাংবাদিক মাসিক পেনশন পাচ্ছেন। এসবের জন্য সরকার দৃষ্টান্তমূলক সহায়তা করে। কর্মরত সাংবাদিকদের আক্রান্ত হওয়া নতুন ঘটনা নয়। ক্লাব প্রতিবাদ করলেই যে তা থেমে যাবে, তা-ও নয়। নিস্ফল প্রতিবাদের চেয়ে আমরা যদি চেষ্টা করি সীমিত সাধ্যের মধ্যে সাংবাদিকদের যতটা সম্ভব সুযোগ দেওয়ার, সেটা কি অযৌক্তিক? যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁরা ক্লাবের দায়িত্বে থাকলে কী ভাবতেন?

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.