প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করতে চিন ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে। আর এই পরিকাঠামো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরের সীমান্তের কাছেই চিনা ভূখণ্ডে পিপলস লিবারেশন আর্মি বিভিন্ন পরিকাঠামোগত নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সময় ভারতীয় পক্ষ পূর্ব লাদাখ সেক্টরের কাছাকাছি এলাকায় চিনা সেনাবাহিনীর নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কর্মকর্তারা বলেছেন যে চিনা ভূখণ্ডে এই সামরিক পরিকাঠামোর আপগ্রেড খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ চিনারা হাইওয়ে প্রশস্ত করছে এবং কাশগড়, গার গুনসা এবং হোতানে প্রধান ঘাঁটি ছাড়াও নতুন আরও এয়ারস্ট্রিপ নির্মাণ করছে।এই আবহে ভারতীয় পক্ষের উদ্বেগের কারণ রয়েছে যথেষ্ঠ। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
চিন নতুন হাইওয়ে এবং সংযোগ সড়ক নির্মাণ করছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নতুন আবাসস্থল এবং বসতি নির্মাণ করছে এবং তাদের পাশে ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্ট সহ ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে। এগুলো আসন্ন আগ্রাসনের ইঙ্গিত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। একটি বড় প্রশস্ত মহাসড়কও তৈরি করা হচ্ছে যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা সামরিক অবস্থানগুলির সাথে পশ্চিমাঞ্চলের সংযোগ আরও উন্নত করবে।
এদিকে কর্মকর্তারা জানান যে চিনা সামরিক বাহিনী তাদের বিমান বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর জন্য তৈরি পরিকাঠামো মার্কিন এবং অন্যান্য দেশের স্যাটেলাইটগুলির চোখের আড়ালে রাখতে চাইছে। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেগুলি নির্মাণ করার মাধ্যমে তা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাছাড়া তিব্বতিদের সেনায় ভর্তি করে তাদের চিনা হান জনজাতির সৈনিকদের সঙ্গে সীমান্তে মোতায়েন করার প্রক্রিয়াও দ্রুত সম্পন্ন করা হচ্ছে। তাছাড়া সীমান্ত এলাকায় চিনা ড্রোন মোতায়েনের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে।