বধূ নির্যাতনের অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়িকে হেনস্থার অভিযোগ উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থানার এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় ওই দম্পতির কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ‘লুটপাটের’ অভিযোগ ওঠে ওই সাব-ইনস্পেক্টর (এসআই)-এর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে আদালতের নির্দেশ আসতেই ওই আইসিকে ‘ক্লোজ’ করা হল। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।
সোদপুর সুখচরে এক বৃদ্ধার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করা এবং বিনা ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’-এ তাঁদের বাড়িতে ঢুকে আলমারি থেকে দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খড়দহ থানার এসআই বিমল দত্তের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দম্পতি। অভিযোগ শোনার পর ব্যারাকপুর আদালতের বিচারক ক্ষুব্ধ হন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কী ভাবে ওই তদন্তকারী অফিসার তাঁর উপরমহল অথবা আদালতের অনুমতি ছাড়া বৃদ্ধা লেখা মুখোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করলেন?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কেন এফআইআর কপিতে ৪০৬ ধারার উল্লেখ করেননি তদন্তকারী অফিসার? তিনি কি বেশি ক্ষমতা দেখিয়েছেন!’’ এর পর আদালত ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারকে নির্দেশ দেন এই ‘বাড়াবাড়ির’ জন্য অভিযুক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হবে। এর পরই অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানা। সেই সঙ্গে আপাতত তাঁকে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত গত জুন মাসের। ২৬ জুন সোদপুরের বাসিন্দা জনৈকা প্রিয়াঙ্কা মুখোপাধ্যায় তাঁর স্বামী রাহুল মুখোপাধ্যায়, শ্বশুর গৌতম মুখোপাধ্যায় এবং শাশুড়ি লেখা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে খড়দহ থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে যান সাব-ইন্সপেক্টর বিমল। কিন্তু তদন্তের নামে তিনি বৃদ্ধ দম্পতির উপর দাদাগিরির এবং তাঁদের বাড়ি লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগে ওঠে। এমনকি, কোনও মামলা রুজু না করেই বৃদ্ধার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করে দেন বলে অভিযোগ। এর পর ওই দম্পতি পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।