মদ খাওয়া নিয়ে বচসা! বন্ধুর গলার নলি কেটে গঙ্গার চরে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার চার অভিযুক্ত

মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে বন্ধুদের মধ্যে বচসার জেরে খুন হলেন পানিহাটির এক যুবক। রবিবার সকালে পানিহাটির গঙ্গার চর থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর এমনই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই যুবকের গলার নলি কেটে তাঁর দেহ গঙ্গার চরে পুঁতে দেন নিহতের চার বন্ধু। ওই চার জন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। রবিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

খড়দহ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে পানিহাটি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে ভান্ডারী নামে এলাকার এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে খড়দহ থানায় খবর দেন স্থানীয়েরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের বয়স আনুমানিক পঁয়ত্রিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ভান্ডারীর চার বন্ধু মুস্তাক, সূর্য, লাল্লু এবং নিবেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, গঙ্গার ঘাটে বসে পাঁচ বন্ধু মিলে মদ্যপান করার সময় তাঁদের মধ্যে বচসা হয়েছিল। যার জেরেই ভান্ডারীকে খুন হতে হয়েছে। বচসা চলাকালীন চার বন্ধু মিলে ভান্ডারীর গলার নলি চপার দিয়ে কেটে গঙ্গার মাটির চরে পুঁতে দেন।

রবিবার সকাল ৮টা-৯টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ভান্ডারীর দেহ দেখতে পান। যোগিনী রায় নামে এলাকা এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘সকাল ৮টা-৯টা নাগাদ দেহটা পাওয়া গিয়েছে। গঙ্গার ঘাট থেকে একটা বডি পাওয়া গিয়েছে শুনলাম। পুলিশ এসে সেটি নিয়ে যায় বলে শুনেছি।’’

চার অভিযুক্তকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করে খড়দহ থানার পুলিশ।

এই খুনের তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের বেলঘরিয়া-কামারহাটি এবং আগরপাড়া অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে খুনে ব্যবহৃত চপারটিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। রবিবার ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।

খুনের ঘটনায় এলাকায় মানুষজন যথেষ্ট আতঙ্কিত। পানিহাটি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজা আহমেদ বলেন, ‘‘খুনের ঘটনার কথা শুনেছি। মদ খেয়ে ছেলেরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করেছে। এর জেরে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনার নিন্দা করছি। এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। আমরা পুলিশকে জানাব। পুলিশ যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তা নেবে। এলাকার মানুষজনের সুবিধায় গঙ্গার ঘাটে সিসিটিভি লাগানোর বন্দোবস্ত যাতে করা হয়, সে অনুরোধও করব।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.