ভোটের আবহে নজির কমিশনের! মাদক, মদ, বেআইনি অর্থ মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত ৯০০০ কোটি

ভোট ঘোষণার পর থেকে মাদক, মদ, গয়না এবং বেআইনি অর্থ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৯০০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে দেশ জুড়ে। শনিবার এমনই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যে পরিমাণ বেআইনি অর্থ এবং অন্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, এ বার এখনও পর্যন্ত অর্থাৎ ভোটের চার দফার মধ্যে তার আড়াই গুণ বেশি অর্থ এবং অন্য সামগ্রী ধরা পড়েছে।

শনিবার প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, অর্থ এবং অন্য সামগ্রী মিলিয়ে মোট ৮,৮৮৯ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া মোট সামগ্রীর মধ্যে ৪৫ শতাংশ মাদক এবং মূল্যবান ধাতু ১৪ শতাংশ। এ ছাড়াও নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৮৪৯ কোটি টাকা। মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি লিটার। যার বাজারদর ৮১৫ কোটি।

সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে গুজরাতে বাজেয়াপ্তের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এটিএস, মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর যৌথ অভিযানে ১৪৬ কোটির নগদ এবং অন্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৮৯২ কোটি টাকারই মাদক। তার পরেই রয়েছে রাজস্থান। এই রাজ্য থেকে ৭৫৭ কোটির নগদ এবং অন্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে। গুজরাত এবং রাজস্থান ছাড়াও মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি থেকেও মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরই ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, এ বারের ভোটে চার ‘ম’ বা ‘এম’-এর অপব্যবহার রুখতে বিশেষ নজর দেবেন তিনি। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘মানি পাওয়ার’ বা আর্থিক ক্ষমতার প্রয়োগ। দেশের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আর্থিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ভোট কেনার প্রবণতা রয়েছে বলে জানিয়ে কমিশনার বলেছিলেন, “এ ধরনের ঘটনা কড়া হাতে দমন করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.