ধর্না দিতে হলে দিল্লিতে এসে ধর্না দিক তবে না বুঝবো কত দম, বিডিও অফিসের সামনে ধর্না দিয়ে কি হবে? ১০০ দিনের কাজের টাকা সহ একাধিক প্রকল্পের বকেয়া টাকার দাবিতে আগামী ৬ আগস্ট তৃণমূল যে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে, তাকেই কটাক্ষ করে দিল্লিতে গিয়ে ধর্না দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন আগামী ৫ আগস্ট। এর বিরুদ্ধে মামলা হলে আদালত এই কর্মসূচি পালনে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। এরপরই তৃণমূলের তরফে ৬ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। তাতে তারা বিভিন্ন বিডিও অফিসের সামনেও ধর্নায় বসবেন বলে জানাগেছে। আর তৃণমূলের এই কর্মসূচিকেই চুড়ান্ত কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি বলেন, বিডিও তো ওনাদেরই লোক। ওনাদের হয়েই ভোট করান। আদালতের রায়ে তৃণমূল ৫ তারিখে কর্মসূচি করতে পারবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাই পিছিয়ে আসতে হয়েছে। আর এই পিছিয়ে আসার জন্যই ৬ তারিখের দিন ঠিক করেছেন তারা। তাঁর কথায়, “যারা নয়ছয় করেন তাদের তো ৬ তারিখটাই পছন্দ হবে। ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না, নয়ছয় করার জন্যই। যদি সঠিক অডিট করতেন, ঠিক মতো কাজ করলে এরকম অবস্থা হতো না। বিডিওর সামনে ব্লক অফিসে গিয়ে ধর্না দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কী করবে? বিডিওরা তো ওনারই লোক। ওনার হয়েই ভোট করায়।”
অভিযোগের সুরে সুকান্ত বলেন, “চুরি যে করেছেন অডিট রিপোর্টে সেটা উঠে এসেছে। ক্যাগের রিপোর্টে উঠে এসেছে, অডিট হয়নি। ভুল জায়গায় টাকা খরচ হয়েছে। যার পাওয়ার কথা তার বদলে অন্য কারো কাছে চলে গেছে। যারা চুরি করেছিল তার বিরুদ্ধে এফআইআর করলেই কেন্দ্র সরকার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপে দিল্লিতে যাবেন বলে ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজন হলে তৃতীয় ধাপও হবে আন্দোলনের, বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর এই প্রসঙ্গেই কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “হ্যাঁ এই তৃতীয় ধাপে হয়তো তিনি ইউএসএ’তে চলে যাবেন। সেখানে গিয়ে ধর্না দেবেন। এখন ওদের রাশিয়া ইউএসএ ছাড়া চলছে না। বান্ধবী রাশিয়া থেকে আসছে। নমিনেশন দুবাই থেকে হচ্ছে। এটা এখন ইন্টারন্যাশনাল তৃণমূল কংগ্রেস।