এই কি মিব়্যাকল? জাদু? নাকি ম্যাজিক? আর অন্য কোনও ধরনের শব্দ দিয়ে এই ঘটনাকে ব্যাখ্য়া করা সম্ভব নয়। একে বিমান দুর্ঘটনা, তায় আমাজনের জঙ্গল। এই দুই সাংঘাতিক পরিস্থিতির মধ্যেও বেঁচে রইল ৪ শিশু। তাজ্জব গোটা পৃথিবী।
গত মাসের ১ তারিখে কলম্বিয়ায় ঘন জঙ্গলের মাঝে ভেঙে পড়েছিল ছোট এক বিমান। ইঞ্জিনের সমস্যার জেরেই ঘটে দুর্ঘটনা। জনবসতি থেকে এত দূরে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল যে, সেটি খুঁজে পেতেই যথেষ্ট কষ্ট করতে হয়েছিল কলম্বিয়া প্রশাসনকে। অবশেষে আমাজনের রেনফরেস্টের ভিতরে ভেঙে পড়া সেই বিমানের খোঁজ মেলে ১৬ মে। ভাঙা বিমানের পাশে তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু বাকিরা?
ওই বিমানে ছিল চার শিশু। তারা কোথায়? তাদের তো মৃত্যু হয়নি। দুর্ঘটনায় শিশুদের মৃত্যু হয়নি বুঝতে পারার পরই জোরদার তল্লাশি শুরু করে কলম্বিয়া প্রশাসন। নিশ্চয়ই এই ঘন জঙ্গলের মধ্যেই কোথাও আছে তারা! হয়তো পথ হারিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরছে। ভয়াবহ জঙ্গল। আর কি তাদের ফিরে পাওয়া সম্ভব? অবশেষে এতদিন পরে ফিরে পাওয়া গেল তাদের। মিরাকল ছাড়া আর কী! দুর্ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পরে ঘন জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা গেল ওই চার শিশুকে।
শনিবার কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুসতাভো পেড্রো ট্যুইট করে ওই চার শিশুর উদ্ধার হওয়ার খবর জানান। প্রায় ৫ সপ্তাহ ধরে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। তারপর চারজন শিশুকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। উদ্ধার হওয়া শিশুরা হল ১৩ বছরের লেসলি জ্যাকোবমবেয়ার মুকুটি, ৯ বছরের সোলেইনি জ্যাকোবমবেয়ার মুকুটি, ৪ বছরের টিয়েন রনক মুকুটি ও ক্রিস্টিন রানক মুকুটি। এদের মধ্যে সব চেয়ে ছোট ক্রিস্টিন।