কুয়াশায় ঢাকা সকাল, বেলা বাড়লেই ঝকঝকে রোদ আর কনকনে ঠান্ডা। এ বছর এরকমই চলছে। প্রতি বছরই জানুয়ারির এই সময়টায় দেশ জুড়ে ভালোই ঠান্ডা পড়ে। ‘ভালো’ মানে কখনও কখনও তা মারণ ঠান্ডাও। এইরকম মারণ ঠান্ডা বিশেষ করে পড়ে উত্তর ভারতে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ডে এমন সাংঘাতিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় যে, তাতে স্বাভাবিক জনজীবন দারুণ ভাবে বিঘ্নিত হয়। কিছু দিন আগেই এরকম এক প্রবাহ বয়ে গিয়েছে উত্তর ভারতের উপর দিয়ে, এবং আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন, অচিরেই এরকম একটা স্রোত আবারও আসতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, উত্তর ভারত জুড়ে শনিবারই একটা শৈত্যপ্রবাহ আসছে। এই শৈত্য প্রবাহের চূড়ান্ত তীব্রতা দেখা দেবে ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে। যে সময়-পর্বে তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে -৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নীচে! নভদীপ দাহিয়া নামের এক ব্যক্তি ‘লাইভ ওয়েদার অফ ইন্ডিয়া’ নামের একটি ওয়েদার প্ল্যাটফর্ম চালান। এটি তাঁরই পূর্বাভাস। তিনি বলেছেন, তিনি যতদিন ধরে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছেন, তার মধ্যে ঠান্ডার এরকম পূর্বাভাস তাঁকে আগে কখনও দিতে হয়নি, মানে, এরকম অবস্থা এর আগে কখনও ঘটেনি বলেই তিনি বোঝাতে চেয়েছেন।
নভদীপ দাহিয়া যে পূর্বাভাস দিয়েছেন, তা থেকে জানা গিয়েছে, উত্তর ভারত জুড়ে এই সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে মাইনাস ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ২ ডিগ্রির মতো। অর্থাৎ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও উঠবে না ডাবল ডিজিটে। এখনও তিনদিন আছে, এর পরেই আসছে সেই ভয়ংকর দিন।
শুধু উত্তর ভারত নয়, এ বছর দক্ষিণ ভারতেও ভালো ঠান্ডা পড়েছে। কর্নাটক, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিল নাডু থেকে কড়া শীত পড়ার খবর এসেছে। জানুয়ারি ২০২৩ কি ইতিহাসের শীতলতম মাস হতে চলেছে? সময়ই তা বলবে।