ক্যান্সার রোগীদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলো মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা তথা খড়্গপুরের সেন্ট এ্যাগনেস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী অর্চিস্মিতা কালী। ক্যান্সার রোগীদের চুল নিয়ে কাজ করা মুম্বাই-এর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “মদত” ট্রাস্টের মাধ্যমে এই কাজটি করলো অর্চিস্মিতা। গাইড লাইন মেনে নিজের চুল কেটে বাবা পূর্ণেন্দু কালীর সহযোগিতায় সেটাকে কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দিল মদত ট্রাস্টের কাছে। যেসব ক্যানসারে রোগীদের কেমোথেরাপি চিকিৎসায় মাথার চুল উঠে যার তাদের পরচুলার জন্য চুলের প্রয়োজন হয়। অর্চিস্মিতা এই কাজের জন্য নিজের মাথার শখের লম্বা চুলের বারো ইঞ্চি কেটে বিনুনি করা অবস্থায় পাঠালো মদত ট্রাস্টে।
অর্চিস্মিতা তার একক অভিভাবক পিতা পূর্ণেন্দু কালী, ঠাকুরদা অর্ধেন্দু শেখর কালী ও ঠাকুমা যূথিকা কালীর সাথে নিজেদের পাহাড়িপুরের বাড়িতে থাকে। অর্চিস্মিতা ছবি আঁকতে, গল্প লিখতে, যোগ ব্যায়াম করতে ভালোবাসে। পশু-পক্ষীদের দারুন ভালোবাসে অর্চিস্মিতা। সে জানাল, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাঁড়াতে পেরে সে খুশি ও গর্বিত। আগামী দিনেও সে এভাবেই নিজের সাধ্যমত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়। পাশাপাশি সে অন্যদেরও একাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। অর্চিস্মিতা এই কাজ করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছে তার সমাজকর্মী দাদু-ঠাকুমা ও বাবার কাছ থেকে। এই কাজে তাকে বিশেষ ভাবে উৎসাহিত করেছেন তার বাবা পূর্ণেন্দু কালী এবং এই কাজে সহযোগিতা করেছেন মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের সদস্য, সমাজ কর্মী, শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া।
অর্চিস্মিতার ঠাকুরদা একসময় নিয়মিত রক্তদান করতেন এবং বন্যাত্রানে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পদক পেয়েছিলেন।অর্চিস্মিতার বাবাও একজন নিয়মিত রক্তদাতা। বাড়ির মেয়ের এহেন কাজে খুশি অর্চিস্মিতার বাবা পূর্ণেন্দু কালী, ঠাকুরদা অর্ধেন্দু শেখর কালী, ঠাকুমা যূথিকা কালী সহ অন্যান্য শুভানুধ্যায়ীরা।