দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ফলে অশান্তি ছড়ালো হরিয়ানার গুরুগ্রামে। ঘটনায় মহিলা ও শিশুসহ ২৫০০-র বেশি মানুষ স্থানীয় একটি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানাগেছে। অশান্তি ঠেকাতে এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।
জানাগেছে, বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বজরং দল আয়োজিত একটি ধর্মীয় মিছিল আটকে তার উপর পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। এরপরেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ার গ্যাসের পাশাপাশি পুলিশ শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে বলে জানাগেছে।
গুরু গ্রামের নুহ-তে ব্রিজ মন্ডল জলাভিষেক যাত্রা (শিবের মাথায় জল ঢালা হয়) আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গুরুগ্রাম আলোয়ার হাইওয়ে হয়ে মিছিল মন্দিরের দিকে আসতেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একদল যুবক ওই ধর্মীয় মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। তার জেরেই তুমুল অশান্তি শুরু হয়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা।
যারা মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন সেই মহিলা ও শিশুসহ ২৫০০-র বেশি মানুষ স্থানীয় একটি মন্দিরে আশ্রয় নেয়। উত্তেজনা প্রশমিত না হওয়ায় পুলিশ এখনো তাদের সেখান থেকে বের করতে পারেনি বলে খবর। প্রাথমিকভাবে ২০ জন আহত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ বলে জানাগেছে। মনু মানেসার এবং তার সহযোগীরা এই অশান্তির কারণ বলে অনেকে মনে করছেন। এই মনু মানেসার একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। বিতর্কিত ভিডিওতে মনু খোলা চ্যালেঞ্জ করেন ধর্মীয় যাত্রা চলাকালীন তিনি সেখানে থাকবেন। এলাকায় অপরাধ মূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত মনুকে মিছিলে দেখার পরে অশান্তি ছড়ায়।