আলোর রোশনাইয়ে বড়দিনে মানুষ যখন উৎসবে মেতে উঠেছিল তখনই নানা বেপরোয়া ঘটনা ঘটল শহরে। গোটা ক্রিসমাস ইভে পুলিশকে চিন্তায় রাখল শহরের বেপরোয়া মোটরবাইক বাহিনী। রাত বাড়তেই বড়দিনের উৎসব মেতে উঠল গতির দৌরাত্ম্যে এবং চলল মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া গাড়ির দাপট। এই পরিস্থিতিতে পুলিশকেও কড়া হাতে মোকাবিলা করতে হল। ফলে ৩০০ ছাড়িয়ে গেল মামলা। কলকাতা পুলিশকে চাপের মুখে কাজ করতে হল ক্রিসমাস ইভে বলে খবর।
ঠিক কী ঘটল শহরে? এদিন রাতভর শহরের নাকা চেকিং পয়েন্টে উর্দিধারীদের সজাগ দৃষ্টিতে বন্দি হলেন অনেকেই। এমনকী ক্রিসমাস ইভে ট্রাফিক আইনভঙ্গের জেরে মোট ৩২৩টি মামলা দায়ের করল কলকাতা পুলিশ। এমনকী পুলিশের উপর আক্রমণও নেমে এসেছে নানা জায়গায়। ক্রিসমাস ইভে শহরের রাস্তায় অভব্যতা এবং মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৪ জনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ৯০ লিটার মদ বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ঠিক কী জানাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ? ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে খবর, বেপরোয়া গাড়ি, মোটরবাইকের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে কলকাতা–সহ সংলগ্ন এলাকা মিলিয়ে মোট ২৩টি জায়গায় নাকা চেকিংয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সেখানে রাতভর ৮৭৮টি গাড়ি ও মোটরবাইককে ‘চেক’ করা হয়। মোটরবাইকে তিনজন আরোহীকে নিয়ে চালানোর অভিযোগে শহরজুড়ে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। আর হেলমেটবিহীন মোটরবাইক আরোহীদের দাপটে ৫৭টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ১৫টি ট্রাফিক গার্ডে ৫৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি ও মোটরবাইক চালানোর অভিযোগে ৭৮টি মামলা করেছে পুলিশ।
আর কী জানা যাচ্ছে? লালবাজার সূত্রে খবর, রবিবার রাত ১০টার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন মোড়ে ব্রেথ অ্যানালাইজার নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন ট্রাফিক পুলিশকর্মীরা। প্রায় প্রতিটি গাড়ি ও মোটরবাইক ধরে ধরে চালকদের নিশ্বাস পরীক্ষা করা হয়। নির্ধারিত মাত্রার বেশি অ্যালকোহল মিললেই জরিমানা করতে কোনও ছাড় দেননি কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। বড়দিনের রাতের এই চিত্র দেখা গিয়েছে শহরজুড়ে। তাই আগামী ৩১ ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি বর্ষবরণের দিন আরও নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হবে।