চিনের পরিস্থিতি ‘অস্বাভাবিক নয়’, নতুন ভাইরাস নিয়ে আর কী বলল স্বাস্থ্য মন্ত্রক?

হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। শনিবার বিবৃতি দিয়ে আশ্বাস দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আরও জানাল, চিনে এখন যা পরিস্থিতি, তা একেবারেই ‘অস্বাভাবিক’ নয়। ভারত ‘শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ মোকবিলার জন্য প্রস্তুত’ বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

চিনে নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। উসকে দিয়েছে কোভিড অতিমারির স্মৃতি। উদ্বিগ্ন দেশবাসীর বড় অংশ। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আবারও উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিল। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যৌথ পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর বৈঠক ছিল। নেতৃত্বে ছিল মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস)। তাতে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র বিশেষজ্ঞ, বিপর্যয় মোকাবিলা সেল, দিল্লি এমস, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। ওই বৈঠকের পরেই বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) যে তথ্য দিচ্ছে, তার উপর নজর রাখা হচ্ছে। এর ঝুঁকি নিয়ে সচেতন থাকছে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনও।’’

সময়ে সময়ে নতুন এই ভাইরাসের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য হু-কেও অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাদের কথায়, ‘‘সমস্ত মাধ্যমে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। চিনের পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য হু-কেও অনুরোধ করা হয়েছে।’’ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ বা তাতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পায়নি। এইচএমপিভির মতো ভাইরাসের অস্তিত্ব দেশে ইতিমধ্যেই রয়েছে। এখন স্বাস্থ্য পরিষেবার যা পরিকাঠামো, তাতে এই রোগের মোকাবিলা করায় কোনও সমস্যা নেই। তাই দেশবাসীকে শান্ত এবং সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাশাপাশি, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার কথাও বলেছে তারা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিষেবা খতিয়ে দেখার জন্য ‘মক ড্রিল’ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, এ ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য সেগুলি তৈরি রয়েছে।

এর আগে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস)-এর আধিকারিক অতুল গয়ালও দেশবাসীকে আতঙ্কিত হতে বারণ করেছেন। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। চিন এই এইচএমপিভি সংক্রমণের জন্য শীতকালকেই দায়ী করেছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র মাও নিং জানিয়েছেন, নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও বিষয়টি নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.