চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে চিনের মহাকাশযান চ্যাং-৬। বর্তমানে সেটি চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ বলের অধীনে আকাশেই রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুর প্রান্তে নির্দিষ্ট স্থানে অবতরণ করবে চিনা চন্দ্রযান। আপাতত সেই অপেক্ষায় রয়েছে বেজিং। তাদের এ বারের চন্দ্র অভিযানের লক্ষ্য শুধু চাঁদের মাটিতে অবতরণ নয়। সেখান থেকে চাঁদের বিশেষ মাটি এবং পাথরের নমুনা তুলে পৃথিবীতে নিয়ে আসার কথা চ্যাং-৬-এর। এই অভিযান সফল হলে চন্দ্র নিয়ে গবেষণার ইতিহাসে নতুন নজির তৈরি হবে।
বুধবার চ্যাং-৬-এ ‘ব্রেকিং বার্ন’ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছিল। তার মাধ্যমেই চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে চিনের চন্দ্রযান। ওই প্রযুক্তির মাধ্যমে চন্দ্রযানটির গতি লাঘব করে চাঁদের টানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলা হয়েছিল। ফলে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণে বল অনায়াসে চ্যাং-৬কে টেনে নিয়েছে।
চাঁদের যে অংশ পৃথিবী থেকে দেখা যায় না, সেই দূরের প্রান্তে নামতে চলেছে চ্যাং-৬। গন্তব্যের কাছাকাছি পৌঁছে চন্দ্রযান থেকে ল্যান্ডার আলাদা হয়ে যাবে। সেই ল্যান্ডার দক্ষিণ মেরুর মাটিতে অবতরণ করবে। আপাতত সেই মতোই পরিকল্পনা রয়েছে।
চিনের এই অভিযানের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে একাধিক দেশ। পাকিস্তান, ফ্রান্স, ইটালি এবং সুইডেনের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিও চাঁদে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে চ্যাং-৬। ফলে চিনের পাশাপাশি এই অভিযানের সাফল্যের দিকে তাকিয়ে আছে ওই দেশগুলিও। পাকিস্তান চিনের এই অভিযানের সাহায্যেই চাঁদে পাঠিয়েছে তাদের প্রথম চন্দ্র উপগ্রহ (স্যাটেলাইট)। এখনও পর্যন্ত চ্যাং-৬-এর যাত্রা নির্বিঘ্নে হয়েছে। কোনও সমস্যা বা বাধা আসেনি। এই অভিযান সফল হলে আগামী দিনে চ্যাং-৭ এবং চ্যাং-৮ অভিযান পরিকল্পনা করে রেখেছে চিন। প্রতি ক্ষেত্রেই তাদের লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু, যা পৃথিবীর মানুষের কাছে তুলনামূলক অপরিচিত এবং সম্ভাবনাময়।