কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারতের নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে চাইছে চিন। আমেরিকান তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফ্টের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। শুধু ভারত নয়, চিনের নিশানায় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার নির্বাচনও।
‘সেম টার্গেটস, নিউ প্লেবুকস’ নামের এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনগুলিতে সামাজিক মাধ্যমের সাহায্যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে, চিন কোনও না কোনও ফায়দা তুলতে চাইবে।’’ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিভিন্ন ভাবে অন্য দেশের নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে চায় চিন। এই ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে চিন ভারত বা আমেরিকার মতো দেশের নির্বাচনের ফলাফলে আপাতত কোনও প্রভাব ফেলতে না পারলেও এই বিষয়ে তারা এই নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাবে বলেই মনে করেন এই রিপোর্টের গবেষকেরা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ ভাবেই প্রভাব খাটাতে চেয়েছিল বেজিং। মাইক্রোসফ্টের মতে, কোনও রাষ্ট্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এ ভাবে অন্য রাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে, তাইওয়ান-নির্বাচনের আগে এমন ঘটনা তাদের চোখে পড়েনি। সেই প্রসঙ্গেই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির হুঁশিয়ারি, ‘‘শুধু তাইওয়ানের নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়েই থেমে থাকবে না চিন। তাদের লক্ষ্য আরও অনেক দূর। এবং এর জন্য তারা ক্রমাগত উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলেছে।’’
মাইক্রোসফ্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-এর জুন থেকে চিন ও উত্তর কোরিয়া থেকে লাগাতার সাইবার আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এই সাইবার হানার লক্ষ্য মূলত তিনটি ক্ষেত্র— ১। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, ২। দক্ষিণ চিন সাগর এলাকা এবং ৩। আমেরিকার প্রতিরক্ষা-প্রযুক্তি ঘাঁটিগুলি। এই তিনটি ক্ষেত্র লক্ষ্য করে চিন সমানে সাইবার নজরদারি চালিয়ে যায় এবং মাঝেমধ্যেই সাইবার হানা চালায় বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০২৩-এ শেষের দিকে ভারত, ফিলিপিন্স, হংকং ও আমেরিকার বিভিন্ন সামরিক মহড়াকেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নিশানা করেছে চিন। উদ্দেশ্য, নিজেদের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি আরও বাড়ানো।