চিনে কোভিড পরিস্থিতি উন্নতির কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রতি দিন বহু সংখ্যক মানুষ ভাইরাসের কবলে পড়ছেন, মৃত্যুও হচ্ছে বহু মানুষের। কোভিড সংক্রমণের ভয়ে চিনের গ্রামাঞ্চলে বয়স্ক রোগীরা অনেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন, দাবি চিনা সংবাদমাধ্যমে। গ্রামে একে একে হাসপাতালগুলিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কোভিডের গ্রাসে ছন্নছাড়া চিনের গ্রামাঞ্চল। শহরের তুলনায় গ্রামে গ্রামে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। সেখানে ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবার জন্যও মানুষকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। অনেকে চিকিৎসা না পেয়েই মারা যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার বেছে নিচ্ছেন চরম পথ।
হাসপাতালগুলিতে মূলত ওষুধ এবং চিকিৎসার অন্যান্য সরঞ্জামের অভাব দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কোভিড আক্রান্ত রোগীরা পরিষেবা পাচ্ছেন না। এমনকি ওষুধও অমিল গ্রামের হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে। ফলে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাদের দরজা।
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে দেশে কোভিডের দৈনিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে বেজিং। ফলে প্রতি দিন কত জন ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, কত জনের মৃত্যু হচ্ছে, তা জানা যাচ্ছে না। তবে গ্রামে গ্রামে যে ছবি প্রকাশ্যে আসছে, তাতে চিনজুড়ে কোভিডের ক্ষত অস্পষ্ট নয়।
চিন সরকারের কোভিড নীতি দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক বার সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। কোভিড মোকাবিলার শূন্য কোভিড নীতি গ্রহণ করেছিল বেজিং। তাতে দেশজুড়ে কড়া ভাবে লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তার পর সম্প্রতি সেই নীতি শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বিশেষজ্ঞরা সমর্থন করলেও সাধারণ মানুষ বিধিনিষেধ শিথিল করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।