অরুণাচলের ভেতর সাড়ে ৪ কিলোমিটার ঢুকে এসেছে চিন। রবিবার ফের পেন্টাগনের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসের তরফে এই দাবি করা হয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসে চিনকে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । এবার সেই ক্লিনচিট প্রত্যাহার করার জন্য দাবি তুললেন কংগ্রেস মুখপাত্র। কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা জানিয়েছেন, লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে গত ১৮ মাসে আমরা দেখছি চিনের আগ্রাসন। চিন সীমান্তে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। আমরা আজ বলছি ওই মেকি জাতীয়তাবাদ থেকে বেরিয়ে আসুন। মোদীর মস্ত বড় ভুল চিনকে এভাবে ক্লিনচিট দেওয়া। দাবি কংগ্রেসের মুখপাত্রের।
চিন যেসমস্ত জায়গায় জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেছে তারও তালিকা তুলে ধরেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র। চুম্বি উপত্যকার গুরুত্বও তুলে ধরেছেন তিনি। তিনি সাফ জানিয়েছেন, এই চুম্বি উপত্যকায় চিনের আগ্রাসন সরাসরি শিলিগুড়ি করিডর ও সাতটি উত্তরপূর্বের রাজ্যের সামনে বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চিনের কথা যখন ওঠে তখন আপনার জাতীয়তাবাদ কোথায় যায়? নাম না করে এভাবেই মোদীকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে পবন খেরা পেন্টাগনের রিপোর্টকে তুলে ধরেন। চিনের সীমান্ত এলাকায় মিলিটারি ও নিরাপত্তার সাজো সাজো রব উঠেছে বলে দাবি কংগ্রেস মুখপাত্রের। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন,অরুণাচলের বিতর্কিত এলাকায় চিন ঢুকে পড়েছিল। পাশাপাশি মিলিটারি ও বসবাস যৌথ প্রয়োজনে গ্রামও তৈরি করে ফেলেছে।
এদিকে পেন্টাগন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যেও চিনের সেনারা তাদের প্রশিক্ষণ ও সমরসজ্জার অগ্রগতি চালিয়ে গিয়েছে।পাশাাপাশি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাতেও চিন কৌশলগত পদক্ষপ চালিয়ে যাচ্ছে।